গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম টিকটকে সম্প্রতি হয়ে গেল ‘#ক্রিয়েট অন টিকটক’ প্রতিযোগিতা। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের (ডিআইএমএফএফ) সহযোগিতায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
বিজয়ীদের মধ্যে শীর্ষ ১০ জনের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের সিনেপ্লেক্সে গত ২৯ জানুয়ারি প্রদর্শিত হয়। যেখানে উঠে আসে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সৃজনশীলতার সঙ্গে টিকটক ব্যবহার।
চলচ্চিত্রের স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি ভার্টিক্যাল ভিডিও ফরম্যাটে গল্প বলার কৌশল দেখানো হয় এখানে। মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরিতে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের উৎসাহিত করার জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে টিকটক।
প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা হলেন আবরার জাহিন, রায়েদ জাকওয়ান, আহনাফ আলি, আশরাফউদ্দিন রাহাত, সাদিকুল ইসলাম, শেখ তাসিন, ইসফার মোস্তাকিম, তাকদির তালহা, রনি শারাফাত এবং মোহাম্মদ রাফসান। ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির জন্য টিকটক থেকে তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
আহনাফ আলি বলেন, ‘#ক্রিয়েট অন টিকটক’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শর্ট-ফর্ম কনটেন্ট তৈরিতে পরিবর্তন আনার জন্য এবং ভার্টিক্যাল ফরম্যাটে যারা সৃজনশীল গল্প তুলে ধরেছে তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য টিকটক এবং ইউল্যাবকে ধন্যবাদ। আমি এর অংশ হতে পেরে আনন্দিত।
মোহাম্মদ রাফসান বলেন, টিকটকে তৈরি করা আমার কনটেন্ট এমন বড় পর্দায় দেখার বিষয়টি সত্যি দারুণ ছিল। এমন সুযোগ দেয়ার জন্য ‘#ক্রিয়েট অন টিকটক’ এবং প্রচারণার জন্য ডিএমআইএফএফ-কে ধন্যবাদ।
ডিআইএমএফএফ-এর সোশ্যাল মিডিয়া পেজ এবং টিকটকে একটি ডেডিকেটেড মাইক্রো-সাইটের মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের চলচ্চিত্র জমা নেয়া হয়। চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য এই প্রচারণা একটি নতুন সুযোগ যেখানে তারা তাদের গল্পগুলো বৃহত্তর দর্শকদের কাছে তুলে ধরতে পারে। এই ক্যাম্পেইনের বিচারক হিসেবে ছিলেন পরিচালক শহীদ গগন, চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ রীতি এবং পরিচালক নাজমুল হাসান সুকর্ণ। ডিজিটাল গল্প বলার ক্ষেত্রে নতুনত্ব তুলে ধরাই ছিল এই ক্যাম্পেইনের মূল লক্ষ্য।