হ্যাশট্যাগ কাউন্ট ফিচার সরাল টিকটক। এই ফিচারের মাধ্যমে একটি হ্যাশট্যাগ দিয়ে কতগুলো ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে তা জানা যায়। তাই হ্যাশট্যাগের আওতায় কয়টি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে তা আর জানা যাবে না। তবে ফিচারটি সরিয়ে ফেলার ফলে কোম্পানিটিকে অনেক সমালোচনা মুখে পরতে হয়েছে।
দা ওয়াশিংটন পোস্টের বলছে, অ্যাপটি ফিলিস্তিনিপন্থী কনটেন্টকে বেশি বুস্ট করছে বলে সমালোচকেরা দাবি করেন।। তাই কোম্পানিটি এই ফিচার বন্ধ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত মাসে কোনো ঘোষণা ছাড়াই হ্যাশট্যাগ কাউন্ট ফিচারটি বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে টিকটকের একজন মুখপাত্র জানায়।
একাডেমিক গবেষকেরা এই পদক্ষেপে হতবাক হয়েছেন। কারণ, ক্ষতিকর কনটেন্ট ও প্রবণতার নিয়ে গবেষণার ডেটা পরিমাপের জন্য এই হ্যাশট্যাগ কাউন্ট ফিচার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। ইসরায়েল–গাজা যুদ্ধের বিষয় নিয়ে টিকটক ব্যবহারকারীদের উভয় পক্ষের সমর্থকদের সংখ্যার পার্থক্য পরিমাপ করতে গবেষকেরা এই ফিচার ব্যবহার করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এক্স (আগের টুইটার) এবং মেটা উভয়ই ‘গোপনীয়তা উদ্বেগ’ ও তথ্যের ‘অপব্যবহার’ এর কথা উল্লেখ করে গত কয়েক বছরে সাংবাদিক ও গবেষকদের ডেটা অ্যাকসেস সীমাবদ্ধ করেছে।
টিকটিক ক্রিয়েটিভ সেন্টারের কার্যাবলি সীমিত করার পর বলেন, বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং গবেষকেরা বিষয়টি ‘ভুলভাবে’ দেখছেন। তবে ডেটাতে অ্যাকসেস সীমিত করার প্রবণতা প্ল্যাটফর্মগুলোর জবাবদিহি ও কনটেন্টের প্রভাব বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে।
সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মগুলো ফিচারগুলো এবং ডেটা অ্যাকসেস নীতি সংশোধন করার অধিকার থাকলেও, এই পরিবর্তনগুলো স্বচ্ছভাবে জানানো উচিত। সেই সঙ্গে গবেষকেরা যেন ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারে তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।