আবারো দূরবর্তী মহাকাশের বেশ কিছু ছবি পাঠিয়েছে মহাকাশে পাঠানো জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। ছবিগুলো তাক লাগিয়ে দিয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। দেখা মিলছে দূরবর্তী সব নক্ষত্র ও ছায়াপথের। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ ১৯ টি সর্পিল ছায়াপথের আশ্চর্যজনক ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে। এই ছবিগুলোর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ নক্ষত্রকে বিষদরূপে দেখা গেছে। এরকমটা আগে কখনো সম্ভব হয়নি।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ বিভিন্ন ধরনের আলো দেখতে পারে। যেমন কাছাকাছি ইনফ্রারেড এবং মধ্য ইনফ্রারেড। এর ফলে বিজ্ঞানীরা নক্ষত্র, ধূলিকণা, গ্যাস অধ্যয়ন এ সুবিধা পান। মিল্কিওয়ে সহ মহাকাশে অনেক বেশি সর্পিল ছায়াপথের অস্তিত্ব রয়েছে।
সর্পিল ছায়াপথ কীভাবে জন্ম লাভ করেছে এবং তাদের বিকাশ কীভাবে হয়েছে তা জানার জন্য এই ধরনের রিসার্চ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই পর্যবেক্ষণ ফ্যাঙ্কস নামে একটি বড় প্রকল্পের অংশ। সারা বিশ্বে ১০০ জনের বেশি জ্যোতির্বিজ্ঞানী এ পরিকল্পনা অংশ।
তারা বিভিন্ন টেলিস্কোপ ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করে। বিভিন্ন উপায়ে ছায়াপথ অধ্যয়ন করা হচ্ছে। এর ফলে গবেষণার কাজ আরও সহজ হচ্ছে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ থেকে প্রাপ্ত নতুন ছবি সত্যিই চিত্তাকর্ষক। এমন সব ছবি পাওয়া গেছে যা গবেষকরা আগে কখনো দেখেননি।
কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে যা নক্ষত্র বিকাশ করার ধরন সম্পর্কে জানতে সহায়তা করছে। জেমস ওয়েব ইনফ্রারেড ক্যামেরা ব্যবহার করার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ তারাকে উজ্জ্বলরূপে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। জেমস ওয়েব ছায়াপথের গ্যাস এবং বড় গর্তের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছিল।
জানা গেছে বিকশিত নক্ষত্রের কারণে এ ধরনের গর্ত তৈরি হয়েছিল। ছায়াপথ ভেতর থেকে বৃদ্ধি পায়। কেন্দ্র থেকে গঠন শুরু হয়। তার মানে কেন্দ্র থেকে দূরে নক্ষত্র ছোট হয়ে আসে। নক্ষত্র বিলিয়ন এমনকি ট্রিলিয়ন বছর একটানা বেচে থাকতে পারে।
নক্ষত্রের জন্ম কীভাবে হয় ও মৃত্যু কীভাবে হয় তা নিয়ে বড় ধরনের রিসার্চ করা হচ্ছে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ২০২১ সালে মহাকাশে যাত্রা শুরু করে। এরপর ২০২২ সালে ডাটা সংগ্রহের কাজ শুরু করে।