ভাষার মাসে বাংলা ভাষাকে প্রযুক্তিগত এক নতুন উৎকর্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক বাংলাদেশি স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান ইনটেলসেন্স এ আই। তাদের উদ্ভাবনা সেন্স.এআই সম্প্রতি উন্মুক্ত করেছে বাংলা ভাষার প্রথম লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ‘একুশ এলএলএম’। প্রযুক্তির সাথে তাল মেলাতে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে বাংলা ভাষার যোগসূত্র তৈরিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে তাদের এই উদ্ভাবন।
ইনটেলসেন্স এ আই-এর প্রতিষ্ঠাতা রুম্মান আরেফিন এ প্রসঙ্গে বলেন, “বাংলা ভাষায় প্রশিক্ষিত বিশ্বের প্রথম লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল নিয়ে এসেছি আমরা। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল জেনারেটিভ এআইকে বাংলাদেশের জন্য প্রাসঙ্গিক করে তোলা এবং সেই উদ্দেশ্যেই আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক মডেলগুলোকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে শুরু করি। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য তাদের উপাত্ত ব্যবহার করে চাহিদা-অনুযায়ী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি তৈরিতে আমরা সহায়তা করি। এ পথ ধরেই এলো আমাদের এই সাম্প্রতিকতম উদ্ভাবন। আশা করছি বাংলা ভাষাকে আরও এগিয়ে নেবে আমাদের এই লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল।”
ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ বোঝা ও প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সংযোজন সেন্স.এআই। মেশিন লার্নিং এ্যালগরিদম ব্যবহার করে তৈরি এই লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল অবিশ্বাস্যরকম নির্ভুলতা ও নিপুণতার সাথে বাংলা বুঝতে ও লিখতে সক্ষম। বাংলা ভাষার এই প্রযুক্তিগত উন্নয়ন একদিকে ভাষাকে যেমন উন্নীত করবে, অন্যদিকে বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলার বহুবিধ ব্যবহারও নিশ্চিত হবে।
সেন্স.এআই ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলোতে বাংলা ভাষায় যোগাযোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। চ্যাটবট ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে শুরু করে কনটেন্ট তৈরি ও অনুভূতি বিশ্লেষণে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে এ মডেলটির। ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে এটিকে কাজে লাগিয়ে সেবাগ্রহীতাদের সাথে আরও ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারবে।
এর বাইরে এই ডিজিটাল যুগে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ ও উন্নীত করতেও অসীম সম্ভাবনা রয়েছে সেন্স.এআই-এর। ধাপে ধাপে প্রশিক্ষিত করার মাধ্যমে বাংলা ভাষার বর্ণ ও শব্দের সাথে এ মডেলটির গভীর সংযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে যে কোন সংলাপ ও যোগাযোগে সহজবোধ্যতা ও সাবলীলতা লক্ষ করবেন এর ব্যবহারকারীরা।
বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনে বাংলা ভাষায় নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের সক্ষমতা তৈরির মাধ্যমে এটি বাংলা ভাষার সক্ষমতা যেমন বাড়াবে, একইসাথে ভাষার বৈচিত্র্যও লালন করবে। টেলি-মেডিসিন থেকে কৃষি—সকল ক্ষেত্রে মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলেও আশা করা যেতে পারে। এই লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলটির আরও উৎকর্ষসাধনের জন্য ক্রমাগত কাজ করছে ইনটেলসেন্স এআই লিমিটেড।