ওয়্যারেবল ডিভাইসের বাজারে আরো একটি ডিভাইস উন্মোচন করেছে স্যামসাং। গ্যালাক্সি ফিট টু-এর উত্তরসূরি হিসেবে ফিট থ্রি বাজারে এনেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্টটি। নতুন ফিটনেস ট্র্যাকারে বড় ডিসপ্লে ও ব্যাটারি দেয়া হয়েছে।
গ্যালাক্সি ফিট থ্রি ওয়্যারেবলে ১ দশমিক ৫৭ ইঞ্চির অ্যামোলেড ডিসপ্লে দেয়া হয়েছে। ওয়্যারেবল অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ১০০-এর বেশি ওয়াচ ফেসের মাধ্যমে ইন্টারফেস পরিবর্তন করতে পারবে। ডিভাইসে কত মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে স্যামসাং কিছু জানায়নি। কোম্পানির দাবি একবারের চার্জে ডিভাইসটি ১৩ দিন পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম।
আগে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ডিভাইসে ২০৮ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি দেয়া হতে পারে। যেখানে গ্যালাক্সি ফিট টু ডিভাইসটিতে ১ দশমিক ১ ইঞ্চির অ্যামোলেড ডিসপ্লে ও ১৫৯ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি দেয়া হয়েছিল। গ্যালাক্সি ফিট থ্রিতে হার্ট রেট, ঘুম ও ব্যায়ামসংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে। স্যামসাং হেলথ অ্যাপ ব্যবহার করে স্মার্টফোনে এসব বিষয়ের বিস্তারিত তথ্য দেখা যাবে। ওয়্যারেবলটিতে এক্সিলারোমিটার ও জায়রোস্কোপ থাকলেও জিপিএস দেয়া হয়নি।
স্যামসাংয়ের নতুন স্মার্ট ওয়্যারেবল ডিভাইসে রিমোট ক্যামেরা, ফাইন্ড মাই ফোন, জরুরি মুহূর্তে বার্তা পাঠানোর সুবিধা, ফল ডিটেকশন বা পড়ে যাওয়া শনাক্তকরণ, ডু নট ডিস্টার্ব মোডসহ বিভিন্ন ফিচার রয়েছে। মাইক্রোফোন ও স্পিকার না থাকায় এর মাধ্যমে ভয়েস কল করা যাবে না। এতে অ্যালুমিনিয়াম চেসিস, সিলিকন স্ট্র্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে এবং এটি আইপি৬৮ রেটিংপ্রাপ্ত।
আগে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গ্যালাক্সি ফিট থ্রিতে ২৫৬x৪০২ পিক্সেলের ডিসপ্লে ও ৩০২ পিপিআই রয়েছে। সেই সঙ্গে ১৬ মেগাবাইটর র্যাম ও ২৫৬ মেগাবাইট স্টোরেজ রয়েছে। তবে ডিভাইসটিতে কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। ডিভাইসটির আনুমানিক দাম ১০০ ডলার হতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তিবিদরা। ধূসর, সিলভার ও পিংক গোল্ড রঙে ডিভাইসটি পাওয়া যাবে।