দেশে আবারও নকিয়া মোবাইলের উৎপাদন শুরু হয়েছে। নকিয়া এখন সেলেক্সট্রা লিমিটেডের ঘরে। সম্প্রতি গাজীপুরের টঙ্গিতে ৫৩ হাজার ৭১৫ বর্গফুট জায়গা নিয়ে সেলেক্সট্রা লিমিটেড তার ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটের (মোবাইল কারখানা) যাত্রা শুরু করেছে। এই ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটেই উৎপাদন শুরু হয়েছে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড নকিয়ার মোবাইল ফোন। বর্তমানে কারখানার মোট কর্মীর সংখ্যা ৪০০, যার ৪০ শতাংশই নারী কর্মী।
নকিয়া মোবাইল দিয়ে উৎপাদন শুরু হওয়া সেলেক্সট্রার ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট মোবাইল ফোন উৎপাদনের পাশাপাশি লাইফস্টাইল গ্যাজেটস যেমন- স্মার্টওয়াচ, টিডাব্লিউএস, হেডফোন, ফিচার ফোন, স্মার্টফোন-সহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি গ্যাজেট তৈরির পরিকল্পনা করেছে।
সেলেক্সট্রায় নকিয়া মোবাইলের উৎপাদন শুরু হওয়ায় সম্প্রতি দেশে প্রথমবারের মতো এইচএমডি গ্লোবালের চিফ অপারেটিং অফিসার আলা লুসান ও ভারত এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাভি কুনওয়ার, পান-এশিয়া জেনারেল ম্যানেজার বিবেক খান্ডেলওয়াল, এবং এইচএমডি কান্ট্রি ম্যানেজার, মশিউর রহমান সেলেক্সট্রা উৎপাদন কারখানা পরিদর্শন করেছেন।
আলা লুসান বলেন, সেলেক্সট্রার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উৎপাদন কারখানা দেখে আমি আনন্দিত। এখন পর্যন্ত ৭টি মডেলের নকিয়া মোবাইল ফোন এই কারখানায় উৎপাদন করে বাজারজাত করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটি আমার দেখা সবচেয়ে সেরা কারখানা। সেলেক্সট্রার সাথে অদুর ভবিষ্যতে এইচএমডি বাংলাদেশের জন্য আরও নতুন পণ্য ও সেবা নিয়ে আসবে।
রাভি কুনওয়ার তার মন্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে সেলেক্সট্রা উৎপাদন কারখানায় অত্যাধুনিক মেশিন ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এখান থেকে বিশ্বমানের নকিয়া ফোন উৎপাদিত হচ্ছে এবং আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে বলতে পারি, এখন থেকে বিশ্বমানের নকিয়া ফোন বাংলাদেশেই উৎপাদিত হবে।
এছাড়া বিটিআরসি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও ইউসিবি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কারখানাটি পরিদর্শন করেছেন এবং সবাই কারখানাটির প্রশংসা করেন।
সেলেক্সট্রা লিমিটেডের বোর্ড চেয়ারম্যান আশরাফ বিন তাজ বলেন, এই কারখানায় উৎপাদিত প্রতিটি নকিয়া ফোনের মানের প্রতি আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মোবাইল শিল্পের এই বিকশিত বিশ্ববাজারে, আমরা বাংলাদেশেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চাই। এইচএমডি সেলেক্সট্রার প্রতি যে বিশ্বাস স্থাপন করেছে, তার তার জন্য আমরা সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি।
উল্লেখ্য, সেলেক্সট্রার সহ প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিব আরাফাত এবং সহ প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম, ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু করে ইতিমধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বর্তমানে ৫০০ জনেরও বেশি কর্মী নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তার সফলতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।