ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফরে সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি কিভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিসহ নানা খাতে সুযোগ তৈরি করেছে তা একটি প্রেজেন্টেশনে তুলে ধরেন। তিনি ডিজিটাল বিপ্লবের সুফল লাভে প্রতিটি নাগরিকের জন্য সমান প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে ‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’-এর সাথে একটি বিশ্ব তৈরির ঘোষণা প্রদান করেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ইউএনডিপি-এর সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার-টু-ইনোভেট (এটুআই) এর আয়োজনে ‘ইনোভেট টুগেদার ফর জিরোডিজিটাল ডিভাইড’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
ইউএনডিপি’র শুভেচ্ছাদূত ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া ‘ইনোভেট টুগেদার ফর জিরোডিজিটাল ডিভাইড’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ডিজিটাল রূপান্তরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন।
অনুষ্ঠানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং কাউকে পেছনে ফেলে নয় দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আগামীর বাংলাদেশকে ডিজিটাল বৈষম্যমুক্ত করে গড়ে তোলার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। অনুষ্ঠানে ক্রাউন প্রিন্সেস ডিজিটাল সেন্টার, জাতীয় হেল্পলাইন 333, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং ফ্রিল্যান্সার সাপোর্ট প্রোগ্রামের মতো উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে ডিজিটাল বিভাজনের সেতুবন্ধনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনুকরণীয় যাত্রা পর্যবেক্ষণ করেন। এই উদ্যোগগুলো সমগ্র বাংলাদেশে নাগরিকদের, বিশেষত তরুণ এবং উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন করছে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথকে সুগম করছে।
জাতিসংঘের সহকারি মহাসচিব উলরিকা মোদের এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক সুইডিশ মন্ত্রী জোহান ফরসেল, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ, জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিগণ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ইন্টারেক্টিভ সেশন এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন প্রচেষ্টার রূপান্তরমূলক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যক্তিদের জন্য তৈরি করা সুযোগের উপর জোর দেন। তারা জিরো ডিজিটাল ডিভাইড বিশ্ব তৈরিতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেন।
চার দিনের বাংলাদেশ সফরের সময় ক্রাউন প্রিন্সেস বাংলাদেশ উন্নয়ন অভিযাত্রার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, লৈঙ্গিক সমতা, পরিবেশবান্ধব ও ডিজিটাল রূপান্তর এবং ব্যবসায়িক খাতের ভূমিকার ওপর দৃষ্টি রেখে এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং চলমান চ্যালেঞ্জগুলো যাচাই করে দেখবেন। এসময় তিনি সরকার এবং ইউএনডিপি-কর্তৃক বাস্তবায়িত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিতকরণের লক্ষ্যে নারী এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের নেতৃত্বে পরিচালিত উদ্যোগগুলোও পর্যবেক্ষণ করবেন।