নিজেদের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভিডিও সরিয়েছে ইউটিউব। এ নিয়ে করা বৈশ্বিক তালিকায় অষ্টম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদশ। গত বৃহস্পতিবার ডিসমিসল্যাবের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ ভিডিও মুছে ফেলেছে ইউটিউব। পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারকারীদের মতামতও মুছে ফেলেছে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি। উগ্রপন্থা, নগ্নতা এবং স্প্যাম ভিডিও প্রচার এবং শিশুবান্ধব না হওয়ার কারণে এসব ভিডিও ও মতামত মুছে ফেলা হয়। এই তিন মাসে বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখের বেশি ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে।
এছাড়া ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে আপলোড হওয়া ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪৪০টি ভিডিও অপসারণ করা হয়েছে। ২০২২ সালের শেষ তিন মাসে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ১৫ হাজার ৯০৭টি ভিডিও সরায় প্ল্যাটফর্মটি। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে ভিডিও অপসারণের হার বেড়েছে ৩১ দশমিক ১৯ শতাংশ।
গুগল ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন অনুসারে, ইউটিউবের ভিডিও সরানোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারত। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত দেশটির প্রায় ২২ লাখের বেশি ভিডিও অপসারণ করেছে ইউটিউব। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা। ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে সিঙ্গাপুরের ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৭১টি ভিডিও অপসারণ করা হয়েছে। আর আমেরিকার সরানো হয়েছে ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫৪টি ভিডিও। ইউটিউবের ভিডিও সরানোর তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। গত বছরের শেষ তিন মাসে বাংলাদেশের ১ লাখ ৫১ হাজার ৫২টি ভিডিও অপসারণ করেছে ইউটিউব।
ইউটিউব মানুষ ও মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এই দুইয়ের প্রয়োগ ঘটিয়ে নীতিমালা লঙ্ঘনের বিষয়গুলো যাচাই করে। তবে মুছে ফেলা এসব ভিডিওর ৯৬ শতাংশের ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এআই। বাকি ৪ শতাংশ ভিডিও অপসারণে ইউটিউবের সাধারণ ব্যবহারকারী ও ‘প্রায়োরিটি ফ্ল্যাগার প্রোগ্রামের’ সদস্যদের অভিযোগ বা পরামর্শ বিবেচনা করা হয়েছে।