করোনা মহামারির পরবর্তী সময়ে স্মার্টফোনের বৈশ্বিক বাজার অনেকটাই নিম্নমুখী ছিল। চলতি বছরে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বিক্রি ৩ শতাংশ বেড়ে প্রায় ১২০ কোটি স্মার্টফোন ইউনিটে পৌঁছবে বলে আশা করছে হংকংভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ।
প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইটি টেলিকম জানিয়েছে, উদীয়মান অর্থনীতির বাজারগুলোতে মূল্যস্ফীতির চাপ ক্রমশ কমে আসছে। একই সময়ে স্মার্টফোনে জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (জেনএআই) প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে। এসব কারণে স্মার্টফোনের বৈশ্বিক বাজারে প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছে কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ।
স্মার্টফোনের বাজারে প্রবৃদ্ধি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনও (আইডিসি)। প্রতিষ্ঠানটির মতে, চলতি বছরে স্মার্টফোনের বৈশ্বিক বাজার ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১২০ কোটি ইউনিট ছাড়িয়ে যেতে পারে।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ জানিয়েছে, চলতি বছরে ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মতো উদীয়মান অর্থনীতির বাজারগুলোতে স্মার্টফোন বাজারে প্রবৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে বাজেট সেগমেন্টের স্মার্টফোন (১৫০-২৪৯ ডলার) বিক্রি এ প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করবে।
এদিকে লাতিন আমেরিকার বাজারে অপো, ভিভো, শাওমি এবং ট্রানশান গ্রুপের মতো চীনা প্রস্তুতকারকদের বিনিয়োগ প্রতিযোগিতা তীব্র হয়েছে। ফলে চলতি বছরে বাজেট সেগমেন্টের স্মার্টফোন বিক্রি বছরে ১১ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া জেনএআই স্মার্টফোন খাতের অন্যতম আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ফলে নতুন প্রজন্মের গ্রাহকেরা এর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়াতে অবদান রাখবে জেনএআই স্মার্টফোন ও ফোল্ডেবলের জনপ্রিয়তা।
আইডিসি পূ্র্বাভাস দিয়ে বলেছে, চলতি বছরে ১৭ কোটি ইউনিটের বেশি জেনএআই প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্টফোন বিক্রি হবে। এটি এআইনির্ভর কম্পিউটারের বিক্রিকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
অন্যদিকে কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ জানিয়েছে, অ্যাপল ও হুয়াওয়ে প্রিমিয়াম সেগমেন্টের স্মার্টফোনের বাজার প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে নেতৃত্ব দেবে। আবার ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মতো উদীয়মান বাজারে আইফোনের চাহিদা বাড়ছে। সবমিলিয়ে চলতি বছরে বৈশ্বিক স্মার্টফোনের বাজার পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করছেন প্রযুক্তিবিদেরা।