অধিকাংশ বাইকারই মোটরসাইকেলের চাকার বিয়ারিংয়ের যত্নের ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। একেবারে নষ্ট বা খারাপ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ারিং সম্পর্কে তারা খবরই নেন না। অথচ খারাপ বিয়ারিংয়ের কারণে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আজ আমরা আলোচনা করব কীভাবে বাইকের চাকার বেয়ারিংয়ের যত্ন নেওয়া যায়।
বেশিরভাগ মোটরসাইকেলের চাকার বিয়ারিংই সিল করা থাকে। এতে সুবিধা হচ্ছে, এই বিয়ারিংগুলোতে গ্রিজিংয়ের প্রয়োজন হয় না এবং এগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়। তবে নিয়মিত পানি বা কাদার মধ্যে দিয়ে বাইক চালালে, বেশি উঁচু-নিচু বা রুক্ষ্ম রাস্তায় দিয়ে চালালে, অধিক প্রেশার দিয়ে নিয়মিত চাকা ওয়াশ করলে, অতিরিক্ত ডিগ্রিজার বা বাইক ক্লিনার ব্যবহার করলে চাকার বিয়ারিংয়ের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া বাইক পুরোনো হলে স্বাভাবিকভাবেই এর যন্ত্রাংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
যেভাবে বিয়ারিংয়ের যত্ন নেবেন:
১. সার্ভিসিংয়ের সময় যখন চাকা খোলা হয় তখন বিয়ারিং পরীক্ষা করুন। বিয়ারিংয়ের চারপাশে ধাতব ধুলা আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
২. মাঝে মাঝে চাকা ঘুরিয়ে এর রোটেশন ফ্রি আছে কিনা দেখুন। এছাড়া চাকা ঘোরার সময় কোনো শব্দ হয় কিনা লক্ষ্য রাখুন। চাকা যদি স্বাভাবিকভাবে না ঘোরে কিংবা যদি চাকা ঘোরার সময় শব্দ হয়, তাহলে বিয়ারিং পরীক্ষা করুন।
৩. বাইক ধোয়ার সময় খাড়াভাবে অধিক প্রেশার দিয়ে চাকার হাব বা এক্সেলের গর্ত বরাবর পানি দেবেন না। বরং, হাবের নিচে পানি দিয়ে চাকা ধোয়ার চেষ্টা করুন।
৪. চাকার হাবে ডিগ্রিজার এর অত্যধিক ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। কারণ এটি বিয়ারিং থেকে গ্রিজ অপসারণ করে এবং ক্ষয় ত্বরান্বিত করে।
৫. বাইক ধোয়ার পরে চাকা ঘোরাতে ভুলবেন না। এতে হাবের আশেপাশে জমে থাকা পানি সরে যাবে।
বিয়ারিং খারাপ হলে হ্যান্ডেলবারে কম্পন অনুভব হবে এবং চাকা থেকে শব্দ আসবে। দিন যত যাবে শব্দের মাত্রা তত বাড়বে। সময়মতো ক্ষয়প্রাপ্ত বা নষ্ট হয়ে যাওয়া বিয়ারিং পরিবর্তন না করলে বাইকের চাকার হাব, এক্সেল এবং আরও অনেক কিছুর ক্ষতি হতে পারে।