এবার স্যামসাংয়ের একটি স্মার্টফোন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিটে গাজীপুরের টঙ্গীতে স্যামসাংয়ের মোবাইল বিস্ফোরণের পর আগুন ধরার খবর পাওয়া গেছে।
মোবাইল ব্যবহারকারী মিতু বেগম জানান, ২৩ রমজান ইফতার করার সময় আমার আড়াই বছরের বাচ্চার হাতে স্যামসাং ফোনটি ছিলো। নামাজ পড়ার আগে বাচ্চার কাছ থেকে ফোনটি নিয়ে টেবিলে রাখি, এর কিছুক্ষণ পর হঠাৎ ফোনটি বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়।
তিনি বলেন, ফোনটি বিস্ফোরণ হয়ে উপর দিকে উঠে এবং ফোনটি আমার গায়ের উপরে এসে পড়ে। হাত দিয়ে বিস্ফোরিত ফোনটি সরিয়ে ফেলার চেষ্টা কারি। এর ফলে ফোনটি বিছানার উপর ছিকটে যায়। এসময় আমার হাতে ফোসকা পড়ে যায় এবং বিছানার চাদর ও বালিশের কভারে আগুন ধরে যায়। এরপর হাতে পাশে থাকা ভেজা তোয়ালে দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলি।
মিতু বেগম আরও বলেন, মোবাইল বিস্ফোরণের এই ঘটনায় আমরা খুবই ভয় পেয়েছি। এই দুর্ঘটনায় বড় ধরনের ক্ষতিও হতে পারতো।
মিতু বেগমের মা ঝর্ণা জানান, আমি রান্না ঘরে ছিলাম, এসময় হঠাৎ মোবাইল বিস্ফোরণ হয়। মেয়ে এবং নাতি আমার এখানে বেড়াতে এসে এমন ঘটনা ঘটেছে। এতে আমি খুব ভয় পেয়েছি। কারণ কিছু হলে আমাকেই তো কৈফত দিতে হতো।
এদিকে বাড়ির মালিকের ছেলে ইশতিয়াক হাওলাদার জানান, শনিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিটে আমাদের বাসার এক ভাড়াটিয়ার স্যামসাং মোবাইলে হঠাৎ করে বিস্ফোরণ ঘটে এবং ব্যাটারিতে আগুন ধরে যায়।
তিনি বলেন, আমি চিৎকার শুনে রুম বের হয়ে দেখি ভাড়াটিয়ার স্যামসাং মোবাইলে বিস্ফোরণ হয়ে মোবাইল একদিকে, ব্যাটারি আরেক দিকে ছিটকে গেছে। খালি ঘর থাকলে আগুন ধরে যেতো কারণ মোবাইলটি বিস্ফোরণ হয়ে বিছানায় এসে উপর এসে পড়ে এবং বিছানর চাদর পুড়ে যায়।
শামিম ফেরদৌস নামে এক মোবাইল ব্যবহারকারী জানান, মোবাইল বিস্ফোরণ সত্যিই ভয়ের বিষয় কারণ এমন ঘটনা চারপাশে প্রায়ই ঘটছে এবং মারাও যাচ্ছে। এই তো কয়েকদিন আগে ভারতে মোবাইল বিস্ফোরণে এক পরিবারের চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আলিফ নামের আরেক মোবাইল ব্যবহারকারী জানান, এমন ঘটনা মাঝে মধ্যেই শুনতে পাই এর ফলে মোবাইল ব্যবহারে ও আতঙ্ক থাকে কারণ কখন কি হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে গ্যালাক্সি ৭ সেভেনের ব্যাটারিতে আগুন ধরার অভিযোগে স্যামসাংকে বিপুল ক্ষতির মুখে পরতে হয়। তাদের বিক্রি পরে যায় এবং ২৫ লাখ ডিভাইস ফেরত নিতে হয়। সে অবস্থা থেকে তাদের ঘুরে দাঁড়াতে বেশ বেগ পেতে হয়।