অগমেন্টেড বা ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, মিক্সড রিয়ালিটি হেডসেটের বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরিতে কাজ করছে প্রযুক্তি জায়ান্টগুলো। এর অংশ হিসেবে মেটা প্লাটফর্ম এখন অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের কোয়েস্ট হেডসেটের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। যার প্রথমে রয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ও মিক্সড রিয়ালিটি ইন্ডাস্ট্রিতে আরো প্রভাব বিস্তার করতে চায় মেটা।
এখন থেকে অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো মেটা হরাইজন ওএস নামের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে নিজস্ব হেডসেট তৈরি করতে পারবে। এ অপারেটিং সিস্টেমে গেসচার রিকগনিশন (অঙ্গভঙ্গি শনাক্তকরণ), পাসথ্রু (ভার্চুয়াল রিয়ালিটি হেডসেট না খুলেও ব্যবহারকারী তার আশপাশের রিয়েল-টাইম ভিউ বা দৃশ্য দেখতে পাবে), আশপাশের দৃশ্য ও বস্তু চিহ্নিত করার মতো ফিচার রয়েছে।
আসুস ও লেনোভো নামের দুটি প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট কার্যক্রমের জন্য হেডসেট তৈরিতে এ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে। এছাড়া মাইক্রোসফটের এক্সবক্স গেমিং কনসোল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কোয়েস্ট হেডসেটের একটি বিশেষ সংস্করণও তৈরি করছে বলে জানিয়েছে মেটা।
গুগল যেমন তার অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমকে ওপেন সোর্স করে স্মার্টফোন প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তেমনভাবে মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ও মিক্সড রিয়ালিটি ডিভাইসকে আরো শক্তিশালী করবে এমন প্লাটফর্মের নিয়ন্ত্রণ চায়।
মেটা হরাইজন ওএস অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক একটি অপারেটিং সিস্টেম। মেটার প্রদর্শিত এক ভিডিওতে জাকারবার্গ অংশীদারদের তৈরি করতে পারে এমন বিভিন্ন ধরনের হেডসেটের উদাহরণ দেখিয়েছেন। যেমন ডিভাইস নির্মাতারা চাইলে শারীরিক ব্যায়ামের জন্য একটি লাইটওয়েট হেডসেট, বিনোদনের জন্য একটি হাই-রেজল্যুশন ও গেমিংয়ের জন্য হেপটিক ফিডব্যাকযুক্ত হেডসেট তৈরি করতে পারবে। এরই মধ্যে আসুসের রিপাবলিক অব গেমারস একটি গেমিং হেডসেট তৈরি করছে এবং লেনোভো উৎপাদনশীলতা ও বিনোদনকে মাথায় রেখে একটি মিক্সড রিয়ালিটি ডিভাইস নিয়ে কাজ করছে।
নতুন ডিভাইসগুলো বাজারে আসতে আরো কয়েক বছর সময় লাগবে। বর্তমানে ভিআর ও এমআর হেডসেটগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গেমার ও কিছু ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ ও মিটিংয়ের জন্য ব্যবহার হয়।
মেটা ভিআর ও এমআর হেডসেটের বাজারে শীর্ষ কোম্পানি হলেও অ্যাপলের ভিশন প্রো বাজারে আসার পর এটি আরো বেশি প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়েছে। মেটা চায় গুগল প্লে অ্যাপগুলো তাদের ডিভাইসে কাজ করুক। কিন্তু গুগল এখনো এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।