তাইওয়ানের বাইরে তৈরি হওয়া সব ধরনের চিপের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)। ফলে এসব চিপ ব্যবহার করে যেসব পণ্য তৈরি করা হবে, সেগুলোর দামও বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চিপ উৎপাদনের গতি বাড়াতে অ্যারিজোনায় কারখানা স্থাপন করেছে কোম্পানিটি। চলতি বছর শেষে সেখানে উৎপাদন শুরু হবে। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে গেম কনসোল অথবা কম্পিউটারসহ বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসে বর্তমানে টিএসএমসির তৈরি চিপ ব্যবহার করা হয়।
প্রযুক্তি বিশারদদের মতে, বিদেশে তৈরি চিপের জন্য তাইওয়ানের এ বহুজাতিক সেমিকন্ডাক্টর কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ও ডিজাইন কোম্পানি তাদের চার্জ বাড়াবে। নির্মাতারা যদি তাইওয়ানের হোম বেসের বাইরে তৈরি হওয়া পণ্য কিনতে পছন্দ করেন তাহলে এ ব্যয় বাড়ানো হবে। সম্প্রতি কোম্পানির আয় প্রতিবেদন প্রকাশের সময় টিএসএমসির সিইও সিসি ওয়েই এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সিসি ওয়েই বলেন, ‘যদি কোনো গ্রাহক একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে চিপ কিনতে চান, তাহলে তাদের খরচ বাড়বে। আজকের খণ্ডিত বিশ্বায়ন পরিবেশে টিএসএমসি, আমাদের গ্রাহক ও আমাদের প্রতিযোগীসহ সবার জন্য খরচ বেশি হবে।’
মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে এরই মধ্যে গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। আরেক প্রতিবেদনে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, তাইওয়ানের বাইরে চিপ তৈরি করা টিএসএমসির জন্য বেশি ব্যয়বহুল। আর এ কারণেই চিপগুলোর জন্য চার্জ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে তারা। তবে তাইওয়ানের বাইরে চিপ সরবরাহ বাড়ানোর জন্য কোম্পানি ও সরকারের চাপের মধ্যেও তারা সে খরচগুলো বহন করবে বলেও জানানো হয়েছে।
জাপানে টিএসএমসি আগেই কারখানা স্থাপন করেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য অ্যারিজোনায় বেশ কয়েকটি প্লান্টও তৈরি করছে তারা। এদিকে দেশে উৎপাদন বাড়াতে চিপ আইনের অধীনে গত সপ্তাহে টিএসএমসিকে ৬৬০ কোটি ডলারের একটি তহবিল দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিনিময়ে টিএসএমসি তার মার্কিন বিনিয়োগ ২ হাজার ৫০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া চলতি দশকের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে আরেকটি কারখানা নির্মাণ ও ২০২৮ সালের মধ্যে আরো উন্নত দুই ন্যানোমিটার চিপ তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।