এই গ্রীষ্মে শীতল বাতাস পেতে বেশিরভাগ মানুষের ভরসা বৈদ্যুতিক পাখা বা ফ্যান। কিন্তু একটানা দীর্ঘক্ষণ ফ্যান চালানোর ফলে মাস শেষে অনেকটাই বিদ্যুৎ বিল আসে। তাহলে উপায় কী? উপায় আছে যদি আপনি আপনার বাসা-বাড়ির জন্য কেনেন বিএলডিসি মোটরের ফ্যান। তবে বিদ্যুৎ বিল কমবে অর্ধেক।
বাজারে এখন বিএলডিসে মোটরের বৈদ্যুতিক পাখা বিক্রি হচ্ছে। দাম সাধারণ ফ্যানের তুলনায় কিছুটা বেশি হলেও মাস শেষে বাড়তি বিলের বোঝা থেকে আপনাকে নিস্তার দেবে। যে কারণে অনেকেই এই বিএলডিসি ফ্যান কিনছেন।
যে হারে গরম পড়েছে তাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষজন। এমন পরিস্থিতিতে এসির পাশাপাশি ফ্যানের উপর চাপ বাড়ছে প্রতিটি ঘরে। কিন্তু, সাধারণ ফ্যান থেকে সেই ভাবে শীতল বাতাস পাওয়া যায় না। যার বিকল্প হিসাবে বাজারে হাজির হয়েছে বিএলডিসি ফ্যান। এই ধরনের ফ্যান যেমন ভালো কুলিং দিতে পারে, তেমনই বিদ্যুৎ খরচও কমায়।
বিএলডিসি ফ্যান কী?
সাধারণ সিলিং ফ্যানে মূলত ব্রাশলেস ডিসি মোটর থাকে। আর ডিসি মোটর এবং বিএলডিসি মোটরের মধ্যে মূল তফাৎ বিদ্যুৎ খরচ। এই সিলিং ফ্যানে থাকে স্থায়ী ম্যাগনেট যা খুব বেশি হিট তৈরি করে না। অন্যদিকে সাধারণ সিলিং ফ্যানে ফ্রিকশন হওয়ার জন্য প্রচন্ড পরিমাণে হিট তৈরি হয়। তাই বিএলডিসি ফ্যান এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে।
বিএলডিসে প্রযুক্তির ফ্যান কত ওয়াট শক্তি খরচ করে?
সাধারণ ডিসি মোটরের ফ্যান গড়ে ৭০-৮০ ওয়াট শক্তি খরচ করে। যেখানে বিএলডিসি ফ্যান ৩০ ওয়াট পর্যন্ত শক্তি খরচ করে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ খরচ করে। মাস শেষে যে ইলেকট্রিক বিল আসে তাতে বড় পরিবর্তন দেখা যাবে। বছরে নুন্যতম ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা সঞ্চয় করতে সাহায্য করবে বিএলডিসি ফ্যান।
১ স্পিডে চালালে সাধারণ ফ্যান যেখানে ১৮ ওয়াট শক্তি খরচ করে সেখানে বিএলডিসি ফ্যান ৮ ওয়াট শক্তি খরচ করে। আবার ৫ স্পিডে চালালে সাধারণ ফ্যান ৭৮ ওয়াট শক্তি খরচ করে থাকে। যেখানে বিএলডিসি ফ্যান ৩০ ওয়াট পর্যন্ত শক্তি খরচ করে। তাই একটানা ফ্যান চালানোর ফলে যারা ইলেকট্রিক বিল নিয়ে চিন্তায় থাকেন তাদের জন্য বিএলডিসি ফ্যান ভালো বিকল্প হবে।
শুধু বিদ্যুৎ খরচও নয়, বিএলডিসি ফ্যানে আওয়াজও কম হয়। সাধারণ ফ্যানে যেখানে অনেক আওয়াজ তৈরি হয়। যেহেতু বিএলডিসি ফ্যানে ব্রাশলেস প্রযুক্তি থাকে তাই এতে খুব বেশি আওয়াজ বের হয় না এবং ভালো কুলিং পাওয়া যায়।
বিএলডিসি ফ্যান পরিবেশ বান্ধব ও রিমোট কন্ট্রোল ফিচার থাকে
গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে, সাধারণ ফ্যানে যেখানে বছরে ১.৬ টন কার্বন তৈরি হয়। সেখানে বিএলডিসি ফ্যান ৬০ শতাংশ কার্বন নির্গমন কমিয়ে দেয়। বর্তমানে বহু বিএলডিসি ফ্যানে পাওয়ার সেভিং মোড থাকে যা অন করে বিদ্যুৎ খরচ কমানো যায়, পাশাপাশি রিমোট কন্ট্রোলের সুবিধাও থাকে।