সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করছে শীর্ষস্থানীয় রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম উবার এবং বাংলাদেশ সড়ক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এর অংশ হিসেবে উবার তাদের অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চলমান ক্যাম্পেইনকে সহায়তা করবে। একইসাথে দ্রুতগতির যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করবে।
জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন বিআরটিএ-র সার্কেল অফিসের সহকারী পরিচালকরা (প্রকৌশলী)। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য তারা সড়ক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করবেন। ক্যাম্পেইনটির মাধ্যমে অফলাইন ট্রিপকেও ব্যাপকভাবে নিরুৎসাহিত করা হবে। এ ধরনের ট্রিপের ফলে যাত্রী ও চালক উভয়ের নিরাপত্তাই ঝুঁকির মুখে পড়েন।
এই যৌথ উদ্যোগের অংশ হিসেবে উবার প্ল্যাটফর্মে যুক্ত চালকদের তথ্য ও নির্দেশনা দেয়া হবে। এর মাধ্যমে ট্র্যাফিক আইন মেনে চলার গুরুত্ব ও দায়িত্বশীলভাবে গাড়ি চালানোকে উৎসাহিত করা হবে। এই ক্যাম্পেইনের সাহায্যে আরও তুলে ধরা হবে, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল এই যৌথ উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, “যাত্রী ও চালকদের নিরাপত্তা উবারের কাছে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ। এর আগেও আমরা বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ট্র্যাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সড়ক নিরাপত্তা উন্নত করতে কাজ করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা এখন বিআরটিএ-র সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে কাজ করছি। বিআরটিএ-র এই সময়োপযোগী উদ্যোগ দেশের সড়ককে আরও নিরাপদ করে তুলবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
বিআরটিএ-র পরিচালক (রোড সেফটি) ও মুখপাত্র শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, “নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে বিআরটিএ সর্বদা দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিরাপদ সড়কের লক্ষ্যে উবার তাদের প্ল্যাটফর্মের ড্রাইভারদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিরাপত্তা বিষয়ক বার্তা প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। উবারের এই প্রচেষ্টা ও উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। সড়কে বাহনের বেপরোয়াভাবে চলাচল কমিয়ে আনার পাশাপাশি দায়িত্বশীল ড্রাইভিং এর মাধ্যমে নিরাপদ সড়কের সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য উবারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক।”
বাংলাদেশের ৪ বিভাগের ৯টি শহরে নানা রকম পণ্য নিয়ে চালু আছে উবার। এসব এলাকার সকল চালকের কাছে এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা পৌঁছানো হবে।