গত কয়েক বছরে স্মার্টফোনের ক্যামেরায় বিরাট পরিবর্তন এসেছে। উন্নত প্রযুক্তির পাশাপাশি যোগ হয়েছে একাধিক লেন্স, যা ক্যামেরার কার্যক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন তো বহু স্মার্টফোনে ২০০ মেগাপিক্সেল পর্যন্ত ক্যামেরা পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন, সামান্য কয়েকটি ভুলে ফোনের ক্যামেরা সম্পূর্ণ ভাবে খারাপ হয়ে যেতে পারে। দাম দিয়ে কেনা ফোন ও তার ক্যামেরার যত্ন নিতে এই ভুলগুলো এড়িয়ে চলুন।
ফোনের ক্যামেরা দিয়ে লেজার লাইট ক্যাপচার করবেন না
বিভিন্ন কনসার্টে প্রায়ই লেজার লাইটের ব্যবহার করা হয়। আর এগুলো ভীষণ তীব্র হয়। আর এই লেজার লাইট যদি ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ক্যাপচার করার চেষ্টা করেন, তাহলে স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। লেজার লাইটের উচ্চ ঘনত্বের কারণে প্রভাবিত হতে পারে ফোনের লেন্স।
বাইকে লাগিয়ে রাখা
বাইকের সামনে অনেকেই স্মার্টফোন লাগিয়ে থাকেন । ম্যাপ দেখে দ্রুত গন্তব্যে যাওয়া যায়। কিন্তু, এই প্রবণতা ফোনের ক্যামেরা চিরতরে খারাপ করতে পারে। এর কারণ হল বাইকে যে পরিমাণে ভাইব্রেশন হয় তা ক্ষতি করে স্মার্টফোন ও ক্যামেরার। তাই এমন কিট লাগানোর চেষ্টা করুন যা এই ভাইব্রেশন শোষণ করতে পারে।
পানিতে স্মার্টফোন ব্যবহার নয়
বর্তমানে বহু কোম্পানি ফোনের ওয়াটার রেসিস্ট্যান্ট ফিচারকে খুব বেশি পরিমাণে হাইলাইট করে থাকে। বেশি আইপি রেটিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের মনে বিশ্বাস জন্মানো হয়। কিছু ক্ষেত্রে অল্প পানিতে সেই ফোনের ক্যামেরা ক্ষতি না হলেও, এটি ফোনের জন্য বিপজ্জনক। পানিতে ফোন ব্যবহার করলে তা চিরতরে ক্ষতি করতে পারে ফোনের ক্যামেরাকে।
উচ্চ তাপমাত্রায় ফোনের ক্যামেরা
উচ্চ তাপমাত্রায় ফোনের ক্যামেরা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। তবে শুধু গরমকাল নয়, অত্যধিক ঠান্ডাতেও ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করা উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। উচ্চ তাপমাত্রায় যদি ক্যামেরা অন করেন, তাহলে সূর্যের তাপ সরাসরি ফোনের ক্যামেরা এসে পড়ে। যার ফলে ক্ষতি হতে পারে লেন্সের।
ক্যামেরা লেন্স প্রোটেক্টটর
কেউ কেউ আছেন, ফোনের ক্যামেরা সুরক্ষিত রাখার জন্য লেন্স প্রোটেক্টটর ব্যবহার করেন। এর ফলেও কিন্তু ক্ষতি হতে পারে। আপনি যদি সেই প্রোটেক্টটর বাজে ভাবে ইনস্টল করেন বা দুর্বল মানের হয়, তাহলে তা লেন্সে স্ক্র্যাচ করতে পারে। প্রোটেক্টটর এবং লেন্সের মধ্যে ছোট গ্যাপ থাকলেও তার মধ্যে ধুলো-বালি জমে ক্যামেরা খারাপ করে দিতে পারে।