মোবাইল ফোনের প্রাণ সিম কার্ড। এই সিম কার্ড দিয়েই মোবাইল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকা যায়। ছোট্ট এই চিপের মাধ্যমেই কল-বার্তা আদান-প্রদান করা যায়। ব্যবহার করা মোবাইল ইন্টারনেটও।
সিম কেনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা রয়েছে। অর্থাৎ একজন গ্রাহক কয়টি সিম কিনতে পারবেন তা এই নীতিমালায় স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে। জানুন নিজের নামে কয়টি সিম রাখতে পারবেন?
নিজের নামে কয়টি সিম কেনা যাবে?
একটি জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ডের বিপরীতে বাংলাদেশ ১৫টি সিম কেনার সুযোগ আছে। এর বেশি সিম কেনার সুযোগ নেই। তাই আপনি একক ব্যবহারকারী হিসেবে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম কার্ড রাখতে পারবেন। এর বাইরে নতুন করে সিম কেনার সুযোগ নেই। তবে আপনি চাইলে পুরনো সিমের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবেন।
নিজের নামে কয়টি সিম আছে জানার উপায়
নতুন করে সিম কেনার আগে আপনার উচিত নিজের নামে কয়টি সিম নিবন্ধন আছে তা দেখে নেওয়ার। ব্যবহার করছেন না কিন্তু আপনার নামে নিবন্ধিত, এমন অপ্রয়োজনীয় সিম সহজেই বাতিল করতে পারবেন। এজন্য ওই সিম অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যেয়ে তা বাতিল করতে পারবেন। কিন্তু তার আগে ওই সিমের নম্বর জানা জরুরি। চলুন জেনে নিই সিম নিবন্ধন যাচাই করার উপায়।
সিম রেজিস্ট্রেশন যাচাই করবেন যেভাবে
গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক এবং টেলিটক, যেকোনো সিম থেকেই নিজের নামে নিবন্ধিত হওয়া সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো টাকার প্রয়োজন নেই। প্রথমে মোবাইল থেকে *১৬০০১# ডায়াল করুন। এরপর ফিরতি মেসেজে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের শেষের চারটি সংখ্যা চাওয়া হবে। সেখানে শেষের চারটি সংখ্যা দিয়ে সেন্ড করুন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যেই সিম থেকে জানতে চাচ্ছেন বা কোডটি ডায়াল করছেন তা অবশ্যই একই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা থাকতে হবে।
ফিরতি মেসেজেই ওই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা নম্বরের তালিকা দেয়া হবে। সেই তালিকায় সব নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু নম্বরগুলো সম্পূর্ণ দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে প্রতিটি নম্বরের শুরুর তিন ডিজিট এবং শেষের তিন ডিজিট দেখানো হয়।