দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অরিয়ন ইনফরমেটিকস এর সার্বিক সহযোগিতায় জাতীয়ভাবে তৈরীকৃত এআই ভিত্তিক জিপিটি প্লাটফর্ম ‘ জি ব্রেইন (এইৎধরহ)’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশের সংবিধান, বাজেট এবং স্টার্টআপ এ তিনটি জিপিটি নিয়ে নিজস্ব টুলসেটের উপর জাতীয়ভাবে এ প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৩ জুলাই ২০২৪ খ্রি:) আগারগাঁওস্থআইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে উক্ত প্লাটফার্মের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো সামসুল আরেফিন ও ওরিয়ন ইনফরমেটিকস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি ইকবাল হাবিব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, উন্নত বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের সক্ষমতা তৈরীর মাধ্যমে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জকে আমাদের জয় করতে হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে এআই, ডেটা অ্যানালিটিক্স ও মেশিন লানিং এর মতো প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ সমৃদ্ধ স্মাট ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলা হবে। এজন্যই আমরা আজ এআই নির্ভর জিপিটি প্লাটফর্ম ‘জি ব্রেইন’ (www.gbrainbd.ai) উদ্বোধন করলাম, ভবিষ্যতে এটা মাইগ্রেট করে আমাদের ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারে হোস্ট করা হবে এবং নিয়মিত আপডেটের মাধ্যমে এটাকে ব্যবহার বান্ধব করা হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে আমরা পাবলিক প্রাইভেট একাডেমিয়া পার্টনাশীপের ভিত্তিতে এই কাজটা করেছি।
তিনি এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এআই এর ইতিবাচক প্রয়োগের মাধ্যমে সরকারের সকল লক্ষ্য ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, নিম্ম মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত এআই‘কে পাঠবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সাথে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি এআই ঝুঁকি মোকাবেলায় আইন মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় এআই আইনও প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহার বলেন, বর্তমান বিশে^ সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে ডাটা বা তথ্য উপাত্ত। সেই ডাটা ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা জেনারেটিভ এআই সাম্প্রতিক সময়ে সারা বিশে^ প্রযুক্তির প্রভাব ও প্রসারের চিত্র বদলে দিয়েছে। বর্তমানে যে দেশ, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিকট যত সমৃদ্ধ ডাটা ও প্রযুক্তি আছে, সেই প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা দেশ তত বেশি সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া জিপিটি প্লাটফর্মজি ব্রেইন কিভাবে আমাদের জীবনে উপকারে আসতে পারে তার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত তিনি অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ ছাড়াও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।