আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ইন্টারনেট। ব্যবহার করা যাচ্ছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ।
সোমবার দুপুর দেড়টার কিছু পরে স্বাভাবিক হতে থাকে ইন্টারনেট। একদিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। অন্যদিকে আজ কয়েক ঘণ্টা আজ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ছিল।
আজ সোমবার বেলা একটার দিকে সরকারি একটি সংস্থা ব্রডব্যান্ড ও বেলা দেড়টার পর মোবাইল ইন্টারনেট চালুর নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে এসেছে দেশের ইন্টারনেট–ব্যবস্থা।
ইন্টারনেট সংযোগদাতাদের সংগঠন আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, এখন পুরো ইন্টারনেট–ব্যবস্থাই খুলে দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্যাশও খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন স্বাভাবিক গতিতেই দেশের ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট চলছে।
গতকাল রোববার দুপুর ১২টার পর মোবাইল সংযোগদাতাদের ফোর–জি ইন্টারনেট বন্ধ করতে সরকারের একটি সংস্থা থেকে বলা হয়েছিল। এরপর মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। আজ সকাল ১০টার পর ব্রডব্যান্ড সংযোগ বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। এরপরের কয়েক ঘণ্টা দেশ কার্যত ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছিল।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ ও সহিংসতার মধ্যে বাংলাদেশে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাত ৯টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়। ২৩ জুলাই রাতে দেশে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট–সেবা চালু হয়। ২৮ জুলাই বেলা তিনটা থেকে মুঠোফোনে ফোর-জি ইন্টারনেট চালু করা হয়। ইন্টারনেট চালু হলেও বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। ৩১ জুলাই ফেসবুকও চালু করা হয়েছিল।