ইউটিউবের সাবেক সিইও ও নিজের গ্যারেজে গুগলকে দাড় করাতে সাহায্য করা কোম্পানির দীর্ঘদিনের নির্বাহী কর্মকর্তা সুসান ওয়াজসিকি মারা গেছেন।
সার্চ জায়ান্ট গুগলের অন্যতম আয়ের উৎস অর্থাৎ কোম্পানিটির ‘বিজ্ঞাপন ব্যবসা’ পরিচালনা করার পাশাপাশি এক দশকের বেশি সময় ধরে ইউটিউবের সিইও’র দায়িত্ব পালন করেছেন ওয়াজসিকি। ৯ অগাস্ট ৫৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়াজসিকির মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন তার স্বামী ডেনিস ট্রপার ও গুগল সিইও সুন্দার পিচাই। ১৯৯৮ সালে গুগলে যোগ দেন ওজসিকি। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি ইউটিউবের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তীতে, ‘পরিবার, স্বাস্থ্য, ও ব্যক্তিগত কাজে’ সময় দেওয়াকে কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন ওয়াজসিকি।
ট্রপার ও পিচাই পোস্টে বলেছেন, ‘নন-স্মল সেল’ শ্রেণির ফুসফুস ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। আর এ বছরের শুরুতে তার ছেলে মার্কো ট্রপারও মারা গেছেন। ২০১৪ সালে সাবেক ইউটিউব সিইও ওজসিকিকে বিশ্বে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা ৫০ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির একজন বলে আখ্যা দিয়েছিল ভার্জ।
সার্চ জায়ান্ট গুগলকে গত দুই দশকের অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি তিনি ইউটিউবে এমন রূপান্তর ঘটিয়েছেন, যার সহায়তায় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটিতে পরবর্তী প্রজন্মের তারকা ও ইনফ্লুয়েন্সার জন্ম নিয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।
অনেকদিন ধরেই কোম্পানির অন্যতম ক্ষমতাধর নারী হিসেবে বিবেচনা করা হত ওজিসিকিকে। ২০১১ সালে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে গুগলের পরিচালনা পর্ষদকে ইউটিউব কেনার বিষয়ে রাজি করিয়েছিলেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল মার্কিন শহর স্যান হোসেভিত্তিক দৈনিক মার্কারি নিউজ।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, গুগলের বিশাল বিজ্ঞাপনের ব্যবসা দাঁড় করানোর ক্ষেত্রেও ভূমিকা রেখেছেন ওজিসিকি, যেখানে তিনি ‘অ্যাডসিন’ তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন কোম্পানিকে।
পাশাপাশি, ২০০৭ সালে বিজ্ঞাপন কোম্পানি ‘ডাবলক্লিক’ অধিগ্রহণের অন্যতম কারিগরও ছিলেন সাবেক এ গুগল নির্বাহী। গুগলের বিজ্ঞাপন সাম্রাজ্যের ভিত্তি তৈরিতে এ চুক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়।
ওজিসিকির স্মৃতিচারণ করে গুগল কর্মীদের জন্য একটি মেমো প্রকাশ করেছেন কোম্পানির সিইও সুন্দার পিচাই।