স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলো জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশির ভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে কম হলেও ৬-১০টি অ্যাপ ব্যবহার করেন। বর্তমানে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়াভিত্তিক অ্যাপগুলো বেশি জনপ্রিয়, তবে ফোনে এমন কিছু অ্যাপও থাকে যা খুব বেশি ব্যবহার হয় না। যদিও ফোনের স্টোরেজ স্পেস খালি করার জন্য এ কদাচিৎ ব্যবহৃত অ্যাপগুলো মুছে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে, তবে অ্যাপগুলো নির্দিষ্ট ফাংশন বা ভবিষ্যতের জন্যও অত্যাবশ্যক বা প্রয়োজনীয় হতে পারে। কোন অ্যাপগুলো বেশি ব্যবহার না হলেও স্মার্টফোনে রাখা উচিত এবং কেন রাখা উচিত তা জানিয়েছে মেক ইউজ অব।
পেমেন্ট অ্যাপ
অনেকেই ডিজিটাল পেমেন্টে খুব বেশি আগ্রহী নন, তারা ক্যাশ বহন করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে হুট করে হাতে ক্যাশ টাকা না থাকলে কিংবা জরুরি অবস্থায় টাকা পরিশোধ করার প্রয়োজন হতে পারে। এমন সময় পেমেন্ট অ্যাপ কাজে আসতে পারে। তাই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফোনে অন্তত একটি পেমেন্ট অ্যাপ রাখা উচিত। অ্যাপ রাখার পাশাপাশি অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ রাখাও জরুরি। তবে যেহেতু বিভিন্ন স্থান বিভিন্ন অর্থ প্রদান পরিষেবা ব্যবহার করতে পারে, তাই কমপক্ষে দুটি পেমেন্ট অ্যাপ থাকা ভালো। একটি অ্যাপ গৃহীত না হলে বা সমস্যা থাকলে অন্যটি ব্যবহার করা যাবে।
ফুড ডেলিভারি অ্যাপ
বাসা পরিবর্তন করে নতুন কোনো এলাকায় শিফট হলে কিংবা নতুন কোনো জায়গায় ঘুরতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই ওই এলাকার খাবারের দোকানগুলো খুঁজে পেতে কিছুটা বিড়ম্বনা তৈরি হয়। আবার নেভিগেশন অ্যাপ ব্যবহার করে লোকেশন খুঁজে পেলেও কোন দোকানের খাবারের মান কেমন তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়। তাই এমন সময় ফোনে একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপ থাকলে দোকান খুঁজে পাওয়া সহজ হয় এবং সেই সঙ্গে খাবার ও দোকান সম্পর্কে ভালো-মন্দ রিভিউও দেখা যায়।
পছন্দের একটি গেম
ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হয় না এমন অন্তত একটি গেম ফোনে রাখার পরামর্শ দেন প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, রাস্তায় বাসের জন্য অপেক্ষা করা কিংবা ডক্টরের কাছে গিয়ে ওয়েটিং রুমে বসে থাকতে হলে গেম খেলে কিছুটা সময় কাটানো যাবে। তবে গেম খেলায় অনেকের আগ্রহ কম থাকে, এক্ষেত্রে পছন্দের কোনো বইয়ের পিডিএফ অথবা অ্যাপ ভারসনও ডাউনলোড করে রাখতে পারেন।
লিংকডইন অ্যাপ
লিংকডইন চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা একটি প্লাটফর্ম। কেউ যদি চাকরিপ্রত্যাশী হন তাহলে অবশ্যই তার ফোনে একটি লিংকডইন অ্যাপ থাকা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এখানে প্রোফাইল তৈরি করে ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ, এডুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড, ফিল্ড অব ইন্টারেস্ট, এক্সপেরিয়েন্স সবই যুক্ত করা যায়। এ প্লাটফর্মে সহজেই পেশাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা ও বার্তার প্রতিক্রিয়া জানানো যায়। ফোন থেকেই চাকরির বিজ্ঞাপন পাওয়া ও পছন্দের পদের জন্য আবেদন করতে সহায়ক অ্যাপটি।
নেভিগেশন অ্যাপ
একটি নেভিগেশন অ্যাপ ব্যক্তিকে এক অবস্থান থেকে অন্য অবস্থানে তার পথ খুঁজে পেতে সহায়তা করে। যেমন গুগল ম্যাপ বা অ্যাপল ম্যাপ। যেকোনো পরিস্থিতিতে নেভিগেশন অ্যাপ কাজে আসতে পারে। তাই সবসময় ব্যবহার না হলেও অ্যাপগুলো ডিলিট করা উচিত নয়।