প্রচলিত ইন্টারনেট-সেবা স্মার্টফোন টাওয়ার ও সাবমেরিন কেব্লনির্ভর হলেও কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট–সেবা দিয়ে থাকে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্সের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান স্টারলিংক।
স্যাটেলাইটনির্ভর হওয়ায় সহজেই দুর্গম অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট–সেবা দিতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে শতাধিক দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করা স্টারলিংক এবার শ্রীলঙ্কায় ইন্টারনেট–সেবা দেবে।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে ইন্টারনেট–সেবা পরিচালনার লাইসেন্স পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেট–সেবা দিয়ে থাকে স্টারলিংক। গত এপ্রিলে ভারতে ইন্টারনেট–সেবা চালুর অনুমতিও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট–সেবা চালুর জন্য গত বছরের জুলাইয়ে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদের সঙ্গে বৈঠক করে স্টারলিংক। এরপর নিজেদের প্রযুক্তি সক্ষমতা তুলে ধরলেও কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন পায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
শ্রীলঙ্কার সংসদে গত মাসে একটি নতুন টেলিযোগাযোগ বিল পাস করা হয়েছে। নতুন এই আইনের আওতায় শ্রীলঙ্কায় স্টারলিংককে ইন্টারনেট–সেবা চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কায় ইন্টারনেট–সেবা দেওয়ার জন্য গত মার্চে আবেদন করে স্টারলিংক। আবেদনের পাঁচ মাসের মধ্যেই দেশটিতে ইন্টারনেট–সেবা চালুর অনুমতি পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।