আইএসপি খাতের বৈষম্য অবসানের লক্ষ্যে বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি’র সামনে মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী আইএসপি জোট। জোটের অন্যতম সমন্বয়ক জুলফিকার হায়দারের নেতৃত্বে সকাল সোয়া ১১টার দিকে ৪ দফা দাবিতে মানব বন্ধনে শতাধিক আইএসপি ব্যবসায়ী অংশ নেয়।
বিভিন্ন ব্যানার নিয়ে তারা প্রায় ঘণ্টাখানেক বিভিন্ন স্লোগানে দাবি দাওয়া পেশ করতে থাকে। দাবিগুলোর মধ্যে রায়েছে সকল লেয়ারে আইএসপি-দের লাইসেন্স আপগ্রেডেশন সুবিধা উন্মুক্তকরণ, আন্তর্জাতিক আইন মেনে সিডিএন ফিরিয়ে নেয়া, আইএসপিএবি’র সদস্যপদ ঐচ্ছিক রাখা এবং সকল লেয়ারে ব্যান্ডউইথ গ্রহণের সুবিধা বহাল রাখতে হবে।
মানববন্ধন থেকে জোটের অন্যতম সমন্বয়ক জুলফিকার হায়দার বলেন, বিগত ৫ বছর ধরে দেশের প্রায় ২৭০০ আইএসপি’র সাথে বৈষম্যমূলকভাবে একাধিক নীতি গ্রহণ করায় প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও যখন তখন ইন্টারনেট বন্ধ করার বিষয়ে বর্তমান আইএসপিএবি’র নির্বাহী কমিটিকে দায়ী করে তিনি বলেন, তারা মিথ্যাচার করেছেন। সাধারণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করার প্রয়োজন মনে করেননি। উপরন্তু প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সায় দিয়েছেন। তাই তাদের এই পদে থাকার নৈতিক ভিত্তি নেই।
মানববন্ধনে আইএসপিএবি’র বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে শুরুতে হাতাহাতির ঘটনায় ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে সভাপতি ইমদাদুল হক মানব বন্ধনে দাঁড়াতে পারেননি। তবে সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছেন, আমরা জোটের সব দাবি’র সঙ্গে একমত।
এদিকে বহিরাগতদের মাধ্যমে মানব বন্ধনে হাতাহাতির ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছে বৈষম্য বিরোধী আইএইসপি জোট। জোটের সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম বলেছেন, ব্যবসায় স্বার্থে আমরা জোট বেধেছি। কারো দালালী করতে নয়। দালালীর কারণেই সিডিএনগুলো আইআইজি’র কাছে দিয়ে মুহুর্তেই ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার বন্দবস্ত পাকা করা হয়েছে। এসব বিষয়ে সংস্কার করতে হবে। আমরা মন্ত্রণালয়ন নয় বিটিআরসি-কে স্বাধীন কমিশন গঠনের মাধ্যমে আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি পূরণ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদুল ইসলামের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।