দেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে চূড়ান্ত লাইসেন্স পেয়েছে নগদ। আইনে বিশেষ ছাড় দিয়ে ‘নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’কে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে দেশে ব্যাংকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬২।
ব্যাংক কোম্পানি আইনে একক ব্যক্তি, পরিবার বা কোম্পানির কোনো ব্যাংকের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণে যে বিধিনিষেধ রয়েছে, সেটিতেই ছাড় দেওয়া হয়েছে নগদকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক (বিআরপিডি) শাহরিয়ার সিদ্দিকী নগদ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ তানভীর এ মিশুকের হাতে ‘নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’-এর লাইসেন্স তুলে দেন।
নগদ কে ডিজিটাল ব্যাংক লাইসেন্স দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক দুটি আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। এতে বলা হয়েছে, ‘নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসিকে ৩ জুন তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনাটি সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।’
ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৪ক(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি, কোম্পানি বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ব্যাংকের শেয়ার কেন্দ্রীভূত করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি, কোম্পানি বা পরিবারের সদস্যরা একক, যৌথ বা উভয় নামে কোনো ব্যাংকের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার কিনতে পারবেন না। তবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের শেয়ারের ক্ষেত্রে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ওই ধারা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ নগদ ডিজিটাল ব্যাংকে ১০ শতাংশের বেশি শেয়ারধারী রয়েছে।
অপর এক প্রজ্ঞাপনে আইনের ১৪ক(১) ধারার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১২১ ধারার ক্ষমতাবলে ব্লু হেভেন ভেঞ্চারস এলএলসি, আরসিসি ক্যাপিটাল পার্টনারস এলএলসি ও ফিনক্লুশন ভেঞ্চারস পিটিই লিমিটেড কর্তৃক ‘নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’র শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে ১৪ক(১) ধারা প্রযোজ্য হবে না। অবশ্য কোন প্রতিষ্ঠান কত শতাংশ শেয়ার নিয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি প্রজ্ঞাপনে।
বহুল আলোচিত নগদ ডিজিটাল ব্যাংক বর্তমানে বিপর্যয়ের মুখোমুখি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের লাইসেন্স বাতিলের কথা বিবেচনা করছে। অভিযোগ উঠেছে, বিগত সরকারের দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির হস্তক্ষেপের কারণে নগদকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র জানায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ডাক বিভাগের অধীনে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করা নগদ বিতর্কিতভাবে রূপান্তরিত হয়ে বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে, সেই প্রক্রিয়াটিই তদন্তের আওতায় এসেছে।