খন্দকার মোহাম্মদ সোলায়মান যিনি সোলায়মান সুখন নামেই পরিচিত। একজন জনপ্রিয় প্রেরণাদায়ী বক্তা এবং উদ্যোক্তা। ফেসবুকে ৫ মিলিয়ন ফলোয়ারের মালিক সুখন করেছেন প্রায় ৬০০ এর বেশি পাবলিক সেশন। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অনেকটাই নিশ্চুপ ছিলেন তিনি। তার এই নীরবতার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচিত ও বুলিংয়ের হচ্ছেন তিনি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় যারা তাদের দিয়ে হাসিনা সরকারের পক্ষে ভিডিও বানানোর অপ-চেষ্টার।
যে কারণে ৫আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে না সোলায়মান সুখনকে। এমনকি তার নিজের ফেসবুকে পেইজে দুঃখ প্রকাশ করে মেসেজের অটো রিপ্লাই সেট করে রেখেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে দুঃখ ও লজ্জা প্রকাশ করেন।
তাকে ফেসবুকে পেজে দেখা যায় কেই তাকে মেসেজ দিলে তিনি তার রিপ্লাইয়ে লিখছেন, ‘গালি প্রাপ্য সেটা মেনে নিয়ে শুধু একটা কথাই বলবো গত ১১ জুলাই মেধার পক্ষে ভিডিও পোস্ট করার পর থেকে অনেক হুমকি আর চাপ মোকাবেলা করে নিজেকে এবং পরিবারকে সেফ করে রাখতে হয়েছে। আমি আমার জায়গা থেকে অনিয়ম নিয়ে বছরের পর বছর কথা বলার চেষ্টা করেছি তবে ছাত্ররা যে বলিন্ঠিতার সাথে পরিবর্তন শুরু করতে পেরেছে আমরা আগের প্রজন্ম সেটা পারি নি।’
সোলায়মান সুখন ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন নৌবাহিনীর সাথে। পরে ঢাবি থেকে আইবিএ করে বাংলাদেশের মাল্টিন্যাশনাল জবে জয়েন করেন। বর্তমানে ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন নগদের চিফ পাবলিক রিলেশন বিভাগের পরিচালক। এর আগেও তিনি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। যার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এখন খুব খারাপ অবস্থায় বলে জানা গেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে তাকে মোটিভেশনে যতটা পারদর্শী হিসেবে দেখা যায় প্রফেশনাল লাইফে ততটা দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারেনি বলে মনে করছেন অনেকেই।
নগদে কাজ করার আগে সুখন বাংলালিংক, আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড, ওরাসকম টেলিকম, বাংলাদেশ নেভিতে কাজ করেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের এখন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন। এছাড়াও তিনি নিজের একটি মোবাইল ব্রান্ড তৈরি করেছিলেন কিন্তু পরে তা আলোর মুখ দেখেনি।
হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালে শিল্পী ও স্যোশাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় মুখ তাসরিফ খানকে সরকারের পক্ষে ভিডিও তৈরি করার জন্য টাকা ও হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুরো ঘটনার পেছনে কাজ করেছেন দেশের সিনিয়র এই ইনফ্লুয়েন্সার।
তবে স্ট্যাটাসের পর থেকেই কমেন্টবক্সে তাসরিফের শুভাকাঙ্খী ও সহকর্মীরা দাবি করছেন, সেই ইনফ্লুয়েন্সারের নাম সোলায়মান সুখন।
এমনকি একই ঘটনা নিজেদের সঙ্গে ঘটেছে বলে দাবি করেছেন, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আর এস ফাহিম চৌধুরী, রাকিন আবসারসহ বেশ কয়েকজন। এই ঘটনার জন্য পরোক্ষভাবে সোলায়মান সুখনকেই দায়ী করেছেন তাদের কেউ কেউ।