ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, কম্পিউটারপ্রোগ্রামিং শিক্ষা প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু হবে। এটি শুধু প্রোগ্রামারহবার জন্য নয়। এটি শিশুর জীবনে যে কোন সমস্যা মোকাবেলায় কাজে লাগবে। তিনিবলেন, আগামী দিনের প্রযুক্তির বিস্ময়কর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উপযোগী করেগড়ে তুলতে হলে শিশুদেরকে যুক্তিসংগত চিন্তাভাবনা করার সুযোগ দিতে হবে,সৃজনশীলতা তাদের মধ্যে তৈরি করতে হবে এবং সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা অর্জনেতাদের প্রস্তুত করতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগ এবংইয়াংবাংলা‘র যৌথ উদ্যোগে জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৯এর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানেপ্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার প্রাথমিক স্তরে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলককরতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ এর নির্দেশনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, প্রোগ্রামিং শিখাটা প্রাথমিক স্তর থেকেই শুরু হবে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় পর্যায়ে শিশু কিশোরদের প্রোগ্রার্মিং টুর্ণামেন্ট আমরা বাধ্যতামূলক করতে চাই।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, শিল্প বিপ্লবের চতুর্থ স্তরে আমরা প্রবেশ করেছি। এই স্তরের প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা হবে সবচেয়ে কঠিন। যারা যোগ্য তারাই টিকবে। অযোগ্যরা হারিয়ে যাবে। আগামী ৫ বছরে বিদ্যমান পেশার শতকরা ৮০টিরই অস্তিত্ব থাকবে না। ডিজিটাল যুগে পৃথিবীতে প্রতিমূহুর্ত পরিবর্তনশীল। পৃথিবীতে কৃষিযুগ গেছে হাজার হাজার বছর কিন্তু ডিজিটাল যুগে রূপান্তর ঘটছে প্রতিমূহুর্তে। আগামী দিনে পেশাগত যে পরিবর্তন আসবে তার প্রতিটির সাথে কোন না কোনভাবে প্রোগ্রামিং যুক্ত থাকবে বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী শিশুদের জন্য প্রোগ্রামিংয়ের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে বলেন, ‘প্রোগ্রামিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমরা শিশুদেরকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করছি।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রচলিত পদ্ধতির একবছরের পাঠ্যক্রম এক মাসে শিশুদের আয়ত্তে আনার কয়েকটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, শিশুদের শৈশবে যা শিখানো যায় বড় হলে ক্রমান্বয়ে তা কঠিন হয়ে যায়।
শিশুদের জন্য মৌলিক শিক্ষা প্রদানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিশুদের বর্ণমালা চেনানো যেরকম জরুরী, যোগ বিয়োগ শেখানোও জরুরী। ঠিক তেমনি তাকে প্রোগ্রামার শিখানোটাও জরুরী।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা‘র দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে গত দশ বছওে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়ায় অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে যুগান্তকারি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়িত হচ্ছে। অগ্রগতির এই অগ্রযাত্রা অব্যহত থাকলে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ হবে বিশে^র বিস্ময়।
মন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি তাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান শিশুদের কল্যাণে কাজে লাগাতে আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। এর আগে গত বছর দেশে প্রথমবারের মত শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা শুরু হয়।