বিশ্বমঞ্চে দেশ ও প্রতিষ্ঠানকে তুলে ধরা শুধু একটি সুযোগ নয়, এটি আশীর্বাদও। আর প্রিয়শপ সেটাই করছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের অবস্থান তুলে ধরছে। যার ফলে মাযার্দার আসনে অধিষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ।
দেশের শীর্ষস্থানীয় বি-টু-বি মার্কেটপ্লেস এবং স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম প্রিয়শপ। আন্তর্জাতিক মঞ্চে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করছে প্রতিষ্ঠানটি। কয়েক সপ্তাহে আগে প্রিয়শপ স্টার্টআপ চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ ফাইনালিস্ট, পেগাসাস টেক ভেঞ্চারস দ্বারা আয়োজিত স্টার্টআপ বিশ্বকাপের শীর্ষ ১০ ফাইনালিস্ট, এবং স্টার্টআপ হুইল ২০২৪-এর আন্তর্জাতিক ট্র্যাকের শীর্ষ ৫০-এর স্থান অর্জন করে। শুধু তাই নয়, প্রিয়শপ ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান অর্জন করে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ইশেলন এক্স, একসেলেরেটিং এশিয়া’স এশিয়া এক্সেলেরেটর, এবং র্স্টাটআপ ওয়ার্ল্ড কাপ। পাশাপাশি সংকল্প ঢাকা অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩-এ প্রথম রানার-আপ স্থান অর্জন, এবং লিপ রকেট ফুয়েল ও হুয়াওয়ে ক্লাউডের স্টার্টআপ ইগনাইট-এর মতো প্রতিযোগিতায়ও ভালো করেছে প্রিয়শপ।
প্রিয়শপ বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পণ্য সরবরাহ থেকে শুরু করে সাপ্লাই চেইন সম্পর্কিত সকল সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে।
এই অর্জনগুলো প্রিয়শপের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, সরবরাহ চেইন প্রক্রিয়াকে সুগম করে এবং এমবেডেড ফাইন্যান্স সমস্যার সমাধান করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সকল সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য শুধুমাত্র তার নিজের অর্জনকেই তুলে ধরে না বরং গ্লোবাল স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে বাংলাদেশের সম্ভাবনাকেও তুলে ধরে।
প্রিয়শপের ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করেছে। এই সফলতায় তাদের সঙ্গে একদল বিদেশি বিনিয়োগকারি যুক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি প্রি-সিরিজ ‘এ’ রাউন্ডে ৫৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ পেয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছেন; তারা এটিকে দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
প্রিয়শপের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা আশিকুল আলম খাঁন বলেন, “আমরা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত। পাশাপাশি বিশ্বমঞ্চে আমাদের উদ্যোক্তাদের সম্ভাব্যতা প্রদর্শন করতে পেরে আনন্দিত। বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য অন্যান্য উদীয়মান স্টার্টআপদের অনুপ্রাণিত করবে। আমাদের লক্ষ্য সর্বদাই ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে একটি স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন ইকোসিস্টেম তৈরি করা যা ব্র্যান্ড এবং এমএসএমই এর মধ্যে কানেক্টিভিটি তৈরি করবে।”
প্রিয়শপ ২০২৪ সালে ৫১টি নতুন শহরে ব্যবসায় প্রসারিত করার পাশাপাশি ১ লাখ ক্ষুদ্র মার্চেন্টকে তাদের প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য নির্ভর করবে এমএসএমই এর জন্য টেকসই ইকোসিস্টেম তৈরি করে তাদের সরবরাহ, অর্থায়ন, অপারেশন ম্যানেজমেন্ট এবং সেলস সাপোর্টের চাহদিা পূরণ করার উপর।