তাইওয়ানের কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এসার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিসংবলিত কম্পিউটারের বিক্রি বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আগামী বছরের তৃতীয় প্রান্তিক নাগাদ এ ধরনের কম্পিউটারের উৎপাদন ৪০ শতাংশ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেসন চেন। খবর নিক্কেই এশিয়া।
টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের এআই প্রযুক্তি কোপাইলট। এআই ব্যবহারকে আরো সহজ করতে টেক জায়ান্টটি উইন্ডোজচালিত কম্পিউটারগুলোয় ডেডিকেটেড কোপাইলট বাটন যুক্ত করছে। আর একে ‘কোপাইলট প্লাস’ নামে অভিহিত করেছে মাইক্রোসফট।
এ ধরনের কম্পিউটার নির্দেশনা অনুযায়ী ছবি তৈরি, অনলাইন মিটিংয়ে সাবটাইটেলের তাৎক্ষণিক অনুবাদসহ অসংখ্য কাজ করতে সক্ষম। অন্যান্য এআই প্লাটফর্মে কাজ করতে ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন। কিন্তু কোপাইলট প্লাস কম্পিউটারগুলো ইন্টারনেট ছাড়াও এসব কাজ করতে পারে।
লেনোভো, এইচপিসহ বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও কোপাইলট প্লাস কম্পিউটারের বিক্রি বাড়ানোয় মনোযোগ দিচ্ছে। তবে অন্যান্য ব্র্যান্ড থেকে এসার কিছুটা ভিন্ন চিন্তা করছে। এসারের কি-বোর্ডে আলাদা একটি বোতাম থাকবে, যার সাহায্যে সাউন্ড ও অন্যান্য সেটিংস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ল্যাপটপের টাচপ্যাডে একটি ইনডিকেটর লাইট থাকবে, যেটি এআই সেমিকন্ডাক্টর সচল থাকলে জ্বলবে।
এসারের সিইও জেসন চেন বলেন, ‘গত মাসে বাজারে আসা এসারের কোপাইলট প্লাস কম্পিউটার জাপানে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ইয়েনে (১ হাজার ৮০০ ডলার) বিক্রি হয়েছে। এ ধরনের কম্পিউটার থেকে মোট বিক্রির ১-২ শতাংশ আয় এসেছে। প্রথম অবস্থায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোয় ডেলিভারি দেয়া হবে। সামগ্রিকভাবে এক বছরে কোপাইলট প্লাস কম্পিউটারের বিক্রি ৪০ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। যদিও অন্যান্য কম্পিউটারের চেয়ে এর দাম তুলনামূলক বেশি, নিউরাল প্রসেসিং ইউনিটের (এনপিইউ) খরচ কমিয়ে আনার মাধ্যমে খুচরা পর্যায়ে দাম কমানো হবে।’
কম্পিউটারগুলোয় এনপিইউ ব্যবহার করা হয়েছে, যার সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৪০ ট্রিলিয়নের বেশি কাজ সম্পাদন করা যায়। এতে সার্ভারের সঙ্গে সংযোগের প্রয়োজন না হওয়ায় এ ধরনের কম্পিউটার আরো দ্রুত কাজ করতে পারে। আপাতত এনপিইউ সরবরাহ করছে কোয়ালকম। তবে ইন্টেল ও এএমডি এআই সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন বাড়াচ্ছে।