বর্তমান সমাজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বড় অনেক বড়। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে ফেসবুক সবচেয়ে জনপ্রিয়। অসংখ্য মানুষ তাদের দৈনন্দিনের নিঃসঙ্গাতা ও বিষন্নতাকে দূর করতে এই ফেসবুক ব্যবহার করেন।
কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, ফেসবুকসহ যত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে মানুষের নিঃসঙ্গতা তো দূর করেই না, বরং ব্যবহারকারীকে আরও হতাশায় ফেলে দেয়।
গবেষকরা বলছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সম্ভবত খুব গভীর প্রভাব ফেলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা যত বেশি সময় কাটাই তাতে আমরা আরও বেশি নিঃসঙ্গ ও বিষণ্ণ হয়ে পড়ি।
এই গবেষণার লেখক মেলিসা হান্ট বলছেন, “সামাজিক যোগাযোগের ব্যবহার কমিয়ে দিলে সাধারণত বিষণ্ণতা ও নিঃসঙ্গতার মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসে।”
কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এমন কি আছে যা আসলে ক্ষতিকর?
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক অস্কার ইয়াবারা বলছেন, “সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যা দেখা যায় তা খুব কম ক্ষেত্রেই বাস্তব জীবনের প্রতিফলন। আপনি এতে ঢুকে যা দেখছেন তা সচরাচর খুবই বাছাই করা বিষয়াদি। কিন্তু মানুষ তবুও নিজের জীবনের সাথে তার তুলনা করে।”সূত্র: বিবিসি