অ্যাপলের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোর মধ্যে একটি হলো আইপ্যাড। আইপ্যাড কেনার আগে ডিভাইসটি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেয়া ভালো। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট স্ল্যাশ গিয়ার আইপ্যাডের কিছু সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করেছে, যা ডিভাইসটি কেনার সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে। সেই সঙ্গে কিছু অর্থও বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।
আইফোনের চেয়ে সাশ্রয়ী
সবচেয়ে সস্তা আইপ্যাড হলো ১০ দশমিক ৯ ইঞ্চির মডেল, যার দাম ৩৪৯ ডলার বা ৪২ হাজার টাকার কাছাকাছি। এরপর আছে আইপ্যাড মিনি, যার দাম ৪৯৯ ডলার। এটি টাকায় ৬০ হাজার টাকার কাছাকাছি। অন্যদিকে যদি একটি সাধারণ আইফোনের দাম শুরু হয় ৫৯৯ ডলার অর্থাৎ সাড়ে ৭১ হাজার টাকায়, তা সবচেয়ে সস্তা আইপ্যাডের দামের প্রায় ৭২ শতাংশ বেশি।
মাউস ও কি-বোর্ড দিয়ে ম্যাকে রূপান্তর
এক্সটার্নাল কি-বোর্ড ও মাউস ব্যবহার করলে আইপ্যাডটি ল্যাপটপের মতো মনে হবে। একই সঙ্গে কাজকেও সহজ করবে। তবে এসব ডিভাইস যোগ করার ফলে খরচ বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে অ্যাপলের নিজস্ব অ্যাকসেসরিজ ব্যবহার করা যায়। এছাড়া অন্য কোম্পানির পণ্যও রয়েছে, যা বিভিন্ন আইপ্যাড মডেলের সঙ্গে কাজ করে।
চার্জ হতে বেশি সময় লাগে
আইপ্যাডগুলো আইফোনের তুলনায় চার্জ হতে বেশি সময় নেয়। আইফোনের মতো, প্রতিটি আইপ্যাড একটি ইউএসবি-সি পাওয়ার অ্যাডাপ্টার ও একটি চার্জিং কেবলসহ আসে। বছরের পর বছর আইপ্যাডে বিভিন্ন পাওয়ার অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে, ৫-ওয়াট, ১০-ওয়াট, ১২-ওয়াট, ১৮-ওয়াট, ২০-ওয়াট। কিছু পুরনো আইপ্যাড মডেল যেমন পঞ্চম থেকে সপ্তম প্রজন্ম ও আইপ্যাড এয়ার ১০ বা ১২-ওয়াট চার্জারসহ এসেছে।
চারটি ভিন্ন অ্যাপল পেন্সিল ব্যবহার
আইপ্যাডের জন্য চারটি ভিন্ন ধরনের অ্যাপল পেন্সিল (স্টাইলাস) কেনা যায়। স্টাইলাস আইপ্যাডকে আধুনিক নোটবুকের মতো অনুভব করায় এবং অনেক ব্যবহারকারীই মনে করেন, আইপ্যাডটি অ্যাপল পেন্সিল ছাড়া সম্পূর্ণ নয়। দাম ও ফিচারের ওপর নির্ভর করে অ্যাপলের চারটি ভিন্ন মডেলের পেন্সিল রয়েছে। এগুলো আইপ্যাড ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরো মসৃণ করে।
বেশি স্টোরেজ সুবিধা
আইপ্যাড ও আইপ্যাড মিনি সর্বাধিক ২৫৬ গিগাবাইট স্টোরেজ অফার করে। আইপ্যাড এয়ার এক টেরাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ দিতে পারে। তবে আইপ্যাড প্রো বিশেষভাবে আলাদা। কারণ এটি দুই টেরাবাইট স্টোরেজের অপশন দেয়, যা কোনো আইফোনে এখনো দেখা যায়নি।
একসঙ্গে একাধিক কাজ
আইপ্যাডের মাল্টিটাস্কিং ফিচারের জন্য ডিভাইসগুলো ডিজিটাল শিল্পী, ছাত্র, গ্র্যাফিক ডিজাইনার, শিক্ষক ও কনটেন্ট নির্মাতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। বারবার অ্যাপ পরিবর্তন করতে হয় না বিধায় এগুলো সময় ও শক্তি সাশ্রয় করে।