আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক এর সাথে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের কার্যক্রম চলছে সেখানে অর্থনৈতিক সংস্কারও হবে। বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে অন্তর্বর্তী সরকার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে যাতে দেশে বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।
রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে চতুর্থ বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। স্যামসাং, এলজির মতো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু উচ্চ কর হারের কারণে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার(NEIR) বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ করার সুপারিশ করেন। বাংলাদেশের সাথে যৌথ বিনিয়োগেও আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
উপদেষ্টা বলেন, কর কমানোর বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে সম্পর্কিত। অর্থনৈতিক সংস্কারের সময় কর কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে যাতে অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, আমরা স্থানীয় প্রস্তুতকারী শিল্প গুলোকে উৎসাহিত করতে চাই। সেজন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই করা হবে।
ডাক ও টেলিযোগ যোগাযোগ বিভাগের সচিব ডঃ মুশফিকুর রহমান সরকারি প্রতিষ্ঠান টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) লিমিটেড এ বিনিয়োগের জন্য রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান।
পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচনার মধ্য দিয়ে সাক্ষাৎকার শেষ হয়।
সাক্ষাৎকালে ডেপুটি চিফ অভ মিশন ঝিনহি ব্যাক, স্যামসাং বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার হুয়াংসুং ও এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।