২০২১ এ যাত্রা শুরু করা এই প্লাটফর্ম এখন পর্যন্ত প্রায় দুহাজার এরও বেশি মানুষকে সেবা দিচ্ছে। যার একটা বড় অংশ জুড়েই আছে ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ ব্যবহারকারীরা। মাইন্ডি তাদের প্লাটফর্মে ইমোশোনাল সাপোর্ট দিয়ে আসলেও তারা মূলত কাজ করেন মেন্টাল হেলথ ফার্স্ট-এইড নিয়ে।
প্লাটফর্মটির প্রতিষ্ঠাতা ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী রেহানুজ জামান। ঢাকা পোস্টকে তিনি জানান, বাংলাদেশে মানসিক সমস্যা নিয়ে এখনো আমরা প্রকাশ্যে কথা বলতে পারিনা। এটিই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যেটির মোকাবিলা করতেই মূলত মাইন্ডির যাত্রা শুরু। এর বাইরেও যদি লক্ষ করেন, আমাদের দেশে সাইকোলজিস্ট-এর সংখ্যা খুবই সীমিত। আর আমরা চাইলেই এটা কয়েকদিনের মধ্যে বাড়িয়ে ফেলতে পারবো না। এই জন্য আমাদের মনে হয়েছে, আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসার মত মনের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েও কাজ করা প্রয়োজন। সেখান থেকেই আমাদের এই দিকটাতে ঝুকে পড়া।
প্লাটফর্মটিতে বর্তমানে ৩০ জনেরও অধিক স্বেচ্ছাসেবক কর্মরত আছেন। তারা মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করেন। একটি দল কাজ করে প্লাটফর্মটি নিয়ে। অন্য দলটির সদস্যদের মূলত লিসেনারস বলা হয়ে থাকে। যাদের মুল কাজই হলো প্লাটফর্মটির ব্যবহারকারীদের কথা শোনা। প্লাটফর্মটির ব্যবহারকারীরা চাইলেই নিজের নাম পরিচয় গোপন রেখেই অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। বন্ধু বানাতে পারেন, কথা বলতে পারেন কিংবা কমিউনিটি গড়ে তুলতে পারেন। এর পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন রিসোর্সও রয়েছে প্লাটফর্মটিতে।
ইসরাত নামের একজন লিসেনার বলেন, মাইন্ডি-তে শ্রোতা হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমাকে মানুষের আবেগ বুঝতে এবং তাদের মানসিক কষ্টে সহানুভূতিশীল হতে শিখিয়েছে। আমার কাছে সবচেয়ে অনুপ্রেরণার বিষয় হলো, মানুষ তাদের মনের কথা বলতে সাহস পায়, যখন তারা একজন মনোযোগী শ্রোতা পায়।
রেহানুজ জামান আরো বলেন, শুরুতে আমরা নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যবহারকারীদের সেবা দিয়ে আসলেও, এই বছর আমরা আরো বৃহৎ পরিসরে আমাদের সেবা দেয়ার লক্ষে কাজ শুরু করি। এরই মধ্যে আমরা নিজেদের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছি। ব্যবহারকারীরা চাইলে সরাসরি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডাইউনলোড করে কিংবা ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি সুবিধা পেতে পারেন।