টিউটর খুঁজে দিয়ে দুই পক্ষকেই স্বস্তি দিয়েছে অনলাইনভিত্তিক টিউশন প্ল্যাটফর্ম কেয়ারটিউটরস। এরইমধ্যে এক যুগ পার করে ফেললো প্রতিষ্ঠানটি। ১২ বছর পূর্তিতে কর্মীদের তাই ভীন্নধর্মী সম্মাননা দিয়ে যুগপূর্তিকে উৎসবে রূপ দিলো কেয়ারটিউটরস। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির ১২তম বর্ষপূর্তিতে তাদের ৫০ জন কর্মীর মাঝে আট ক্যাটাগরিতে এসব সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননা জানানোর ক্ষেত্রে শুধু নিয়মানুবর্তিতা বা সময়ানুবর্তিতাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বরং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা, সৃজনশীলতা বা নেতৃত্বদানের গুণাবলী আছে- এমন অনেক বিষয়কেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কেয়ারটিউটরসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাসুদ পারভেজ রাজু বলেন, আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত কর্মীদের জেনারেল পারফরমেন্সটাই দেখে। কিন্তু সময়মতো অফিসে আসা বা বেশি কাজ করাটাই একমাত্র পারফরমেন্সের প্যারামিটার হতে পারে না বরং এর পাশাপাশি সৃষ্টিশীলতা, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার মতো আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলোর চর্চা সবার মাঝে থাকা উচিত। এসব বিবেচনা করেই আমরা অ্যাওয়ার্ডে বৈচিত্র্যময় ক্যাটাগরির ব্যবস্থা করেছি।
শুরুর দিকে প্ল্যাটফর্মটি শুধু একাডেমিক টিউটর খোঁজায় সীমাবদ্ধ থাকলেও ২০১৭ সাল থেকে এখানে সব ধরনের টিউটর অর্থাৎ ড্রয়িং, আরবি, ভাষা শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি মিলিয়ে মোট ১৩টি ক্যাটাগরি আছে। ক্যাটাগরির পাশাপাশি সেবার পরিধিও এখন ঢাকা থেকে ছড়িয়ে দেশের সব বিভাগীয় শহর সহ ১২টি শহরে বিস্তৃতি লাভ করেছে। গত ১২ বছরে প্রতিষ্ঠানটিতে টিউটর রিকোয়েস্ট এসেছে ১ লাখেরও বেশি। বর্তমানে মোট টিউটর আছে ৩ লাখের ওপরে। রাজু বলেন, অভিভাবক বা শিক্ষার্থী এবং টিউটরদের জন্য জন্য সামনের বছরগুলোতে আমাদের বিশেষ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে যা নিয়ে আমরা এখন কাজ করছি। তাই আশা করছি আমাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীরা সামনের বছরগুলোতে ভালো কিছু ফিচার পাবেন যা তাদের টিউশন নেওয়া ও করানোর অভিজ্ঞতাকে আরো বেশি সম্মৃদ্ধ করবে।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যারা সম্মাননা পেয়েছেন তারা হলেন- সেরা টিম মেম্বার হিসাবে কাজী রাকিব, সুন্দরভাবে সমস্যার সমাধান করার জন্য মারজান আকতার, নিয়মানুবর্তিতা জন্য কামরুল ইসলাম, সৃষ্টিশীল কাজের জন্য কাজী রাকিব, নতুন ভালো উদীয়মান কর্মী হিসাবে আশরাফুল ইসলাম, সব থেকে ভালোভাবে টিম পরিচালনার জন্য সুবর্ণা চৌধুরী, সঠিক সিধান্ত গ্রহণের জন্য সুবর্ণা চৌধুরী এবং সব থেকে সেরা কর্মী হিসাবে সুমাইয়া আহমেদ।