ভার্চুয়াল জগত ছাড়া মানুষের জীবন এখন অচল। আর ঘরে বসেই অবাধে সেই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে ওয়াইফাই রাউটার। প্রতিটি বাসা এবং অফিসে রাউটার এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের রাউটার পাওয়া যায়। এর মধ্যে সিঙ্গেল ব্যান্ড, ডুয়াল ব্যান্ড বা ট্রাই-ব্যান্ডের রাউটার রয়েছে।
সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটারগুলোতে ২ দশমিক ৪ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করতে দেখা যায়। এতে ইন্টারনেটের গতি অনেকটাই কম। এ ক্ষেত্রে ডুয়াল-ব্যান্ড বা ট্রাই-ব্যান্ডের রাউটার সিঙ্গেল ব্যান্ডের চেয়ে বেশি কার্যকর। এ জন্য দেশে সিঙ্গেল ব্যান্ডের রাউটারের আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ হচ্ছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এটি ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, আগামী বছর থেকে ডুয়াল-ব্যান্ড সাপোর্ট করে শুধু এমন রাউটারই বিদেশ থেকে আমদানি এবং দেশে উৎপাদন করা যাবে। দেশের বাজারে যেসব ওয়াইফাই রাউটার বাজারজাত করা হবে সেগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে ২ দশমিক ৪ থেকে ২ দশমিক ৪৮৩ গিগাহার্জ এবং ৫ দশমিক ৭২৫ থেকে ৫ দশমিক ৮৭৫ গিগাহার্জ, উভয় ব্যান্ড সাপোর্ট করতে হবে। এই দুটির মধ্যে একটিকে সাপোর্ট করে এমন ওয়াইফাই রাউটার বাজারজাত করা যাবে না। ফলে নিম্নমানের এবং কম ব্যান্ডের রাউটার বিদেশ থেকে আমদানি ও দেশে উৎপাদনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও আমদানিকারক ও উৎপাদকদের ওপর বিষয়টি হঠাৎ চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। তাদের ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বিটিআরসির তরঙ্গ বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানা বলেন, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এক ব্যান্ডের রাউটার আমদানিকারকদের কোনো কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে না। বিদেশ থেকে এগুলো আমদানির প্রক্রিয়া হচ্ছে বিটিআরসি থেকে প্রথমে অনুমতি নিতে হয়। তারপর এলসি খুলে দেশে আনা হয়। এরপর বাজারজাত করতেও আমাদের অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ এপ্রিলের পর থেকে এগুলো আর বাজারজাত করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি এরই মধ্যে সবাইকে জানানো হয়েছে। নতুন করে কেউ আর সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটার আমদানির ব্যাপারে মনোনিবেশ না করেন। এ ছাড়া বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।