ফোন ভিজে গেলে চালের ভেতরে রাখার কথা প্রথম মাথায় আসে। তবে কাজটি করা মোটেই উচিত নয়। ফোনের পোর্ট বা ফাঁকা অংশে চাল আটকে আরো বেশি ক্ষতি করতে পারে। এর চেয়ে বরং স্বাভাবিক কিছু প্রক্রিয়া মেনে ফোন দ্রুত শুকানো সম্ভব। ফোন সম্পর্কে অসংখ্য ভুল ধারণাগুলোর মধ্যে এটি একটি। যদিও সব ভুল ধারণা যে ফোনের ক্ষতি করে থাকে, তা নয়। তবে না জেনে এসব প্রয়োগে সমস্যা আরো বাড়তে পারে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট স্ল্যাশগিয়ার অবলম্বনে সে রকম কয়েকটি প্রচলিত ভুল ধারণা—
ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ ক্লিয়ার
ভুল ধারণাটি মূলত এসেছে কম্পিউটার থেকে। সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনো সফটওয়্যার চলতে থাকলে মেমোরি ও প্রসেসর ব্যবহার হতে থাকে। কিন্তু স্মার্টফোন ভিন্নভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে। কোনো অ্যাপ ব্যবহার না হলে সেটি ফোনের প্রসেসর বা অন্য রিসোর্স ব্যবহার করে না। ফলে ব্যাটারিও ব্যবহার হতে থাকে না। তবে কোনো কারণে অ্যাপ রেসপন্স না করলে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে অ্যাপ ক্লিয়ার করা যেতে পারে। ২০১৬ সালে অ্যাপলের এক নির্বাহী নিশ্চিত করেন যে বার বার ব্যাকগ্রাউন্ডের অ্যাপ ক্লিয়ার করার প্রয়োজন নেই। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ব্যাকগ্রাউন্ডের অ্যাপ চলা বন্ধ হয়ে যায়।
রাতভর চার্জ দিলে ব্যাটারির ক্ষতি
অনেকেই পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে রাতভর ফোন চার্জিংয়ে রাখলে ব্যাটারি লাইফ কমতে থাকে। তবে এটি ভুল ধারণা। একটা সময় লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর ছিল। কিন্তু প্রযুক্তি উন্নত হয়েছে। ব্যাটারি ১০০ শতাংশ চার্জ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জিং থেমে যায়। এতে ব্যাটারির ওপর চাপ পড়ে না। বরং ১০০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করা ও শূন্য শতাংশে নিয়ে আসা ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করা ও ২০ শতাংশের নিচে আসলে চার্জিংয়ে দেয়া।
একই ব্র্যান্ডের চার্জার কেবল নিরাপদ
একটা সময় ছিল যখন ফোনের ব্র্যান্ডের চার্জার ও কেবল ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হতো। তখন ফোনের বক্সে চার্জার ও কেবল দিয়ে দেয়া হতো। কিন্তু এখন অধিকাংশ ফোনের সঙ্গে চার্জার থাকে না। ফোনের ব্র্যান্ডের চার্জার কিনতে গেলেও বেশ খরচ করতে হয়। বর্তমানে চার্জার ও কেবল উৎপাদকরা ফোনের চার্জিং প্রযুক্তি আমলে নিয়েই তৈরি করে থাকে। এজন্য চার্জিং ওয়াট কতটা সাপোর্ট করছে, তা লক্ষ্য রেখে ভালো মানের চার্জার ও কেবল কেনা যেতে পারে।
অ্যাপ স্টোরের সব অ্যাপ নিরাপদ
গুগলের প্লে স্টোর বা অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরের সব অ্যাপ যে ডাউনলোড করা নিরাপদ, তা কিন্তু নয়। এটি ভুল ধারণা। বিগত সময়ে নানা অ্যাপ স্টোরে ম্যালিশিয়াস অ্যাপ থাকার অনেক খবর বেরিয়েছে। সেগুলো স্টোর থেকে মুছেও ফেলা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রকাশক বা ডেভেলপার কোম্পানি সম্পর্কে ভালো ধারণা নিয়ে অ্যাপ ডাউনলোড করা জরুরি।
যত মেগাপিক্সেল তত ভালো ছবি
স্মার্টফোনের আকারের কারণে ডিএসএলআরের মতো লেন্স ব্যবহার করার সুযোগ নেই। মেগাপিক্সেল বেশি হলে ছবি ডিজিটালি জুম ইন বা আউট করার ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যায়। বাজারে ২০০ মেগাপিক্সেলেরও স্মার্টফোন পাওয়া যায়। সে তুলনায় আইফোন বা গুগল পিক্সেলের ক্যামেরার মেগাপিক্সেল কম হলেও যথেষ্ট ভালো ছবি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সফটওয়্যার প্রসেসিং বেশ ভূমিকা রাখে।