নিয়ন্ত্রক সংস্থার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি স্বাধীন ফার্মের পুঙ্খানুপুঙ্খ নিরীক্ষার পর বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদকে আর্থিক অসদাচরণের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তারা বলেছেন, পর্যালোচনায় অনিয়ম, জালিয়াতি এবং অননুমোদিত ডিজিটাল অর্থ তৈরির অভিযোগের পর্যালোচনা করেছেন। তবে সেখানে কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
নিরীক্ষায় প্রতিষ্ঠিত আর্থিক বিধিবিধান মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের অযৌক্তিক প্রভাব বিস্তারের দাবিসহ অন্যান্য অভিযোগগুলোও খারিজ করে দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র নিয়াজ মোরশেদ এই ফলাফলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমরা সব সময় যা বলে আসছি, এই নিরীক্ষা আবারও তা প্রমাণ করেছে। ‘নগদ’ স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে কাজ করছে।’
২০১৯ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে ‘নগদ’ মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ৯ কোটিরও বেশি গ্রাহক এবং ৪০ শতাংশ মার্কেট শেয়ারসহ, সংস্থাটি তার উদ্ভাবনী অফার এবং সরকারের সঙ্গে একটি অনন্য অংশীদারিত্বের মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। তার রাজস্বের ৫১ শতাংশ রাষ্ট্রের পেয়ে থাকে।
সবশেষ অগ্রগতি হিসেবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি প্রতিষ্ঠার অনুমোদন পেয়েছে। নতুন উদ্যোগের লক্ষ্য সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সেবা সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও এগিয়ে নেওয়া।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা তানভীর এ মিশুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালতে খারিজ হয়ে গেছে।
বদিউজ্জামান দিদার সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে শুরু করা মামলাটি আইনি পর্যালোচনায় মেরিট পাওয়া যায়।
মিশুকের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম নওশাদ জমির বলেন, ‘আদালতের রায়ে অভিযোগের ভিত্তিহীনতা বোঝা যায়। মিশুক সব সময় পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতার সর্বোচ্চ মান বজায় রেখেছেন।’
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো কোনো বিবৃতি না দিলেও নগদ তার সততা ও অপারেশনাল কমপ্লায়েন্সের প্রতিফলন হিসেবে এসব বিষয়ের সমাধানের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে।
এই ফলাফলটি ফিনটেক শিল্পে সংস্থার অবস্থানকে শক্তিশালী করবে এবং এর অব্যাহত বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনকে সমর্থন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।