স্মার্টফোনের স্ক্রিন সুরক্ষার জন্য স্ক্রিন প্রটেক্টর দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন অনেকটাই অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে এটি। আধুনিক স্মার্টফোনের ডিসপ্লে এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে স্ক্র্যাচ ও ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যায়। ফলে অনেক ব্যবহারকারীই এখন আর স্ক্রিন প্রটেক্টরের প্রয়োজন অনুভব করেন না।
বর্তমানে স্মার্টফোনের স্ক্রিনে গরিলা গ্লাস, সিরামিক শিল্ড বা অন্যান্য উন্নত গ্লাস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এগুলো দাগ ও আঘাত থেকে ভালো সুরক্ষা দেয়। বিশেষ করে প্রিমিয়াম ফোনের ডিসপ্লে আরো বেশি টেকসই। এসব উপাদান দৈনন্দিন ব্যবহারের ক্ষতি সহজেই সহ্য করতে পারে। ফলে অতিরিক্ত সুরক্ষার প্রয়োজন কমে যাচ্ছে।
আগে স্মার্টফোনের স্ক্রিন এতটা শক্তিশালী ছিল না। তখন স্ক্রিনকে আঘাত থেকে বাঁচাতে স্ক্রিন প্রটেক্টর ও কভার অপরিহার্য ছিল। কিন্তু এখনকার ফোনগুলোর মান অনেক উন্নত হয়েছে। এমনকি কিছু মডেলে সামরিক গ্রেডের স্থায়িত্বও দেখা যায়।
প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, আগের বেশির ভাগ স্ক্রিন প্রটেক্টর পাতলা প্লাস্টিকের স্তর দিয়ে তৈরি। এতে খুব বেশি সুরক্ষা পাওয়া যেত না। অন্যদিকে আধুনিক ডিসপ্লেগুলো এতটাই উন্নত যে স্ক্র্যাচ পড়ার সম্ভাবনা অনেক কম। এমনকি পকেটে থাকা চাবি বা কয়েন থেকেও স্ক্রিনের তেমন ক্ষতি হয় না।
স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহারের একটি বড় সমস্যা হলো, এগুলো স্মার্টফোনের ডিসপ্লের মূল উজ্জ্বলতা ও গুণমান কমিয়ে দেয়। সময়ের সঙ্গে প্রটেক্টরে দাগ পড়লে ছবির মানও নষ্ট হয়। ফলে অনেক ব্যবহারকারী স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার না করাই শ্রেয় মনে করেন। এর পরিবর্তে ভালো মানের একটি ফোন কেস ব্যবহার করা যেতে পারে, যা কোণ বা পাশ থেকে পড়ে স্ক্রিন ভেঙে যাওয়া থেকে ডিভাইসকে বাঁচাবে। অনেক ফোন কোম্পানি এখন ওয়ারেন্টি ও কম খরচে মেরামতের সুবিধাও দিচ্ছে। যেমন অ্যাপলের অ্যাপল কেয়ার প্লাস বা স্যামসাংয়ের স্ক্রিন মেরামত সেবা।
স্ক্রিন প্রটেক্টর এখনো কিছুটা বাড়তি নিরাপত্তা দিতে পারে। তবে উন্নত গ্লাস প্রযুক্তির কারণে আধুনিক স্মার্টফোনগুলো এখন অনেক বেশি সুরক্ষিত। ফলে স্ক্রিনের কার্যকারিতা নষ্ট না করে ভালো মানের কেস ব্যবহার করাই এ সমস্যার কার্যকরী সমাধান হতে পারে।