যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যদি প্রয়োজন হয় তবে যেকোন ইস্যুতে দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য চীন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং । ইতোমধ্যে দুই দেশই দুদেশের পণ্য আমদানি করার ক্ষেত্রে শুল্ক কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও চলছে আরও বেশি শুল্ক আরোপের হুমকী। মার্কিন সরকার হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকী বলে দেখেছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ থেকে চীন এবং মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ চরম অবস্থায় পৌঁছেছে। বিশেষ করে গত সপ্তাহে মার্কিন প্রতিষ্ঠান গুগল চীনা জায়ান্ট হুয়াওয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করলে দুই দেশের মধ্যে একটা যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয় বাণিজ্য ক্ষেত্রে।
বিশ্ববাজারে বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধো করে যাচ্ছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে । নিষিদ্ধ হওয়ার কিছুদিন পরেই, প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল তারা নিজেদের এই দিনের জন্য প্রস্তুত ছিল । কোম্পানিটি জানিয়েছে যে তারা অ্যান্ডুয়েট এর পরিবর্তনে নতুন ওএস তৈরি করেছে । নতুন অপারেটিং সিস্টেমে গুগল সার্ভিসেসের বিকল্প হিসেবে হুয়াওয়ের নিজস্ব অ্যাপ গ্যালারি স্টোর থাকবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হুয়াওয়ের নতুন ওএস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ও ওয়েব অ্যাপ সমর্থন করবে। হুয়াওয়ের ওএসে অ্যান্ড্রয়েড ওএস ৬০ শতাংশ বেশি দ্রুতগতিতে কাজ করবে।
নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমের জন্য চীনের ন্যাশনাল ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ট্রেডমার্ক অনুমোদন পেয়েছে তারা।
হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেন ঝেংফেই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব মোকাবিলায় তাঁরা প্রস্তুত। ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ নেবেন তাঁরা।
হুয়াওয়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান কেন হু বলেছেন, হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করে গ্রাহক ও ব্যবসার জন্য ‘একটি বিপজ্জনক উদাহরণ’ তৈরি করা হলো। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নীতিমালার সঙ্গে যা কোনোভাবেই যায় না।
কয়েক দিন আগে, হুয়াওয়ে নিশ্চিত করেছিল যে তারা তাদের নিজস্ব ওএস এর তৈরি করে যা স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ উভয় ক্ষেত্রেই কাজ করে। হুয়াওয়ের অপারেটিং সিস্টেম সম্ভবত অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ চালবে, যার মানে গুগল এর অ্যান্ড্রয়েড এ অ্যাপসগুলি ডেস্কটপেও ব্যবহার করা যাবে।