অন্তবর্তী সরকারে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেলেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নীতি উপদেষ্টা থেকে পদায়ন পেয়ে একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন এই প্রযুক্তিবিদ ও প্রকৌশলী। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার (৫ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানাগেছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের পর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব চলে আসে প্রধান উপদেষ্টার ওপর। এখন তার বিশেষ সহকারী হিসেবে এই মন্ত্রণালয়ের দেখভাল করবেন ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।
টেকসই উন্নয়ন ও অবকাঠামোবিষয়ক প্রবন্ধকার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশলে স্নাতক অর্জন করেন। নীতি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেয়অর আগে টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ তৈয়্যব বর্তমানে সিনিয়র সফটওয়্যার সলিউশন আর্কিটেক্ট হিসেবে ‘ভোডাফোন জিজ্ঞো’ নেদারল্যান্ডস-এ কর্মরত ছিলেন। লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত তৈয়্যবের লেখায় টেকসই উন্নয়নের নিরিখে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতিগত দিক, বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের ডিজাইন ত্রুটিসহ বিভিন্ন খাতের কারিগরি ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত সংস্কার এবং অটোমেশন প্রাধান্য পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের সঙ্গে একই আদেশে বিশেষ সহকারি হিসেবে শেখ মইনউদ্দিনকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নিয়োগকৃত প্রধান উপদেষ্টার তিনজন বিশেষ সহকারীকে তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার পাঁচজন বিশেষ সহকারী প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রইলেন। আলাদা প্রজ্ঞাপনে নবনিযুক্ত উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরারকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর শিক্ষা এবং পরিকল্পনা উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।