চীনে অ্যাপলের আইওএসকে পেছনে ফেলেছে হুয়াওয়ের হারমোনিওএস। যদিও দেশটিতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম এখনো অ্যান্ড্রয়েড। ২০২৪ সালের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) চীনে অ্যান্ড্রয়েডের বাজার হিস্যা ছিল ৬৪ শতাংশ। এদিকে হারমোনিওএসের হিস্যা ১৯ শতাংশ, যা আইওএসের তুলনায় দুই শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্টের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
সংস্থাটি বলছে, চীনে গত বছরজুড়ে সফটওয়্যার ব্যবহারে হুয়াওয়ে অ্যাপলের থেকে এগিয়ে ছিল। চীনা জায়ান্টটির জন্য এটি একটি বড় অর্জন বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে এক সময় হুয়াওয়ে স্মার্টফোন ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু এখন শুধু সফটওয়্যারে নয়, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের বাজারেও অ্যাপলকে ছাড়িয়ে গেছে চীনের এ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
নিজ দেশে হুয়াওয়ে আবার শক্তভাবে ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাজার বিশ্লেষকরা। কাউন্টারপয়েন্টের স্মার্টফোন বিক্রির সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গত বছর শেষ তিন মাসে চীনের স্মার্টফোন বাজারে শীর্ষস্থান দখলে ছিল হুয়াওয়ের। কোম্পানিটি এ সময় ১৮ শতাংশের বেশি বাজার হিস্যা অর্জন করেছে। এটি হুয়াওয়ের জন্য একটি বড় মাইলফলক। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পাঁচ বছর পর এই প্রথম তারা নিজ দেশের বাজারে আবার শক্ত অবস্থানে ফিরে এসেছে। হুয়াওয়ের স্মার্টফোন বিক্রি আগের বছরের তুলনায় ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে, যার পেছনে মূল কারণ নোভা ১৩ ও মেট ৭০ সিরিজের সফলতা।
কাউন্টারপয়েন্টের মতে, ভবিষ্যতে চীনে হারমোনিওএসের ব্যবহারের হার আরো বাড়বে। এর একটি মূল কারণ হলো সরকার সমর্থিত ভর্তুকি। চীনা সরকার অর্থনীতিকে উৎসাহিত করতে একটি বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছে, যার আওতায় ৬ হাজার ইউয়ান (প্রায় ৮০০ ডলার) মূল্যের নিচের স্মার্টফোনে ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ৭০ ডলার) পর্যন্ত ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে।
তবে বিশ্ববাজারে চিত্রটি ভিন্ন। যেখানে এখনো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড। অন্যদিকে হুয়াওয়ের বিশ্বব্যাপী বাজার হিস্যা ২০২৪ সালের শুরু থেকে স্থির রয়েছে ৪ শতাংশেই।র বেস মডেলে প্রথমবার টেলিফটো ক্যামেরা