স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদকে অপসারণের দাবি তুলে আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ার ঘেরাও কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ আইটি উদ্যোক্তা কাউন্সিল (বিআইইউসি)। রবিবার দুপুরে ঘণ্টা খানেক ধরে চলা এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে টাওয়রের সামনের রাস্তায় সমবেত হন অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারী।
কর্মসূচি শেষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বরাবর অপসারণের সপক্ষে ৫টি যুক্তি তুলে ধরে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত সামি ব্যক্তিস্বার্থে ও রাজনৈতিক বিবেচনায় ১৫টি স্টার্টআপে ৮০ কোটি টাকা বিতরণ করলেও সেগুলোর অধিকাংশেই সফলতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। টেন মিনিট স্কুলের মতো প্রতিযোগিতা ও দক্ষ উদ্যোগ বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ নিয়ে ২০২৫ সালের ১৯ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সমানে বিক্ষোভও হয়েছে।
সমাবেশে পতিত সরকারের আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দুর্নীতি ও লুটপাটের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড দাবি করে ‘আইটি খাতের দস্যু’ আখ্যা দিয়ে স্টার্টআপ বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজ এমডি সামি আহমেদের দ্রুত অপসারণ ও বিচারের দাবিতে আইসিটি টাওয়ার ঘেরাও কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
বিআইইউসি আহবায়ক তালহা ইবনে আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ বিন সফির উপস্থাপনায় ঘেরাও কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব খাবিরুল জাহান সাজিদ।
অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন অন্যতম আইটি উদ্দ্যেক্তা মেহেদী হাসান, মোঃ মনিরুজ্জামান, সিনিয়র আইটি উদ্দ্যেক্তা আহসান হাবীব, ফাউজিয়া নিগার সুলতানা, বিআইইউজে যুগ্ম আহবায়ক ইমরুল কায়েস পরাগ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে প্রতিবছর বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আসে। কিন্তু ৫ই আগষ্টের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান তারা এখনো স্বপদে বহাল থাকায় আমরা লজ্জিত।
ঘেরাও কর্মসূ্চি ও হটাও ব্যানারের পাশাপাশি এসময় বিক্ষোভকারীদের হাতে ‘আমার ভাই কবরে, সামি কেন চেয়ারে’; ‘১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ, ৩ লাখ টাকা কমিশন, পলক-সামি সিন্ডিকেট, আইটি খাতের দুশমন’; ‘পলক-সামি ভাই ভাই, একসাথে দেখতে চাই’ ইত্যাদি প্লাকার্ড দেখা যায়।