দেশের অনলাইন ভিত্তিক আইটি ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান বিডিকলিং একাডেমির বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটি উচ্চমূল্যের কোর্সের বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করলেও বাস্তবে প্রতিশ্রুত প্রশিক্ষণ ও সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন।
ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষার্থী জানান—
-
“কোর্সে ভর্তি করানোর আগে বলা হয়েছিল, এক্সপার্ট মেন্টরের সরাসরি কোচিং পাব। কিন্তু পরে দেখি, একজন সাপোর্ট স্টাফের সাথেও যোগাযোগ করা যায় না।”
-
“কোর্স শেষে প্রজেক্ট সাবমিশনের কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু কোনো সিস্টেমই চালু করা হয়নি।”
-
“জব প্লেসমেন্টের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভর্তি করানো হয়, পরে বলে দেয় ফ্রিল্যান্সিং করতে হবে নিজ দায়িত্বে।”
-
“টাকা নেয়ার পরে কোর্সের অনেক ভিডিও অ্যাক্সেস লক করে দেয়, সাপোর্ট টিম বারবার মেসেজ করার পরেও রেসপন্স করে না।”
-
“ক্লাসের সময়ে বারবার টেকনিক্যাল প্রবলেম হয়, অথচ কোর্সের আগে বলা হয়েছিল ২৪ ঘণ্টা সাপোর্ট থাকবে।”
-
“কিছু লাইভ ক্লাস নেওয়া হলেও, টিচাররা নিয়মিত অনুপস্থিত থাকেন। মাঝে মাঝে অন্য কোর্সের রেকর্ডেড ভিডিও চালিয়ে দেওয়া হয়।”
-
“ক্লাসের কনটেন্ট খুবই প্রাথমিক, ইউটিউবে ফ্রি কনটেন্টের থেকেও দুর্বল।”
-
“জব গ্যারান্টি প্রোগ্রামে বলা হয়েছিল ৬ মাসে আউটসোর্সিং আয় হবে, কিন্তু বাস্তবে ৯ মাসেও কোনো প্রজেক্ট পাইনি।”
-
“অনেকের টাকা ফেরতের আবেদন এক বছরের বেশি সময় ঝুলে আছে। ইমেইল করলে রিপ্লাই মেলে না।”
-
“টাকা ফেরতের জন্য বললে উল্টো বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ব্লক করে দেয়।”
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজ এবং গুগল রিভিউতেও শত শত নেতিবাচক মন্তব্য দেখা গেছে। অনেকেই টাকা ফেরত চেয়ে পোস্ট করেছেন, কিন্তু কোনো সাড়া পাননি।
আইটি প্রশিক্ষণ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ঘটনার কারণে পুরো অনলাইন শিক্ষাক্ষেত্রে মানুষের আস্থা নষ্ট হচ্ছে। তারা বিটিআরসি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে এ ধরনের প্রতারণা রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।