স্যামসাংয়ের আসন্ন ট্রাই-ফোল্ড গ্যালাক্সি ফোনে ব্যবহার হতে পারে সিলিকন-কার্বন ব্যাটারি। ‘পান্ডা ফ্ল্যাশ প্রো’ নামে এক টিপস্টার সম্প্রতি এ তথ্য জানায়। সিলিকন ব্যাটারি প্রচলিত ব্যাটারির তুলনায় অনেক হালকা ও পাতলা হয়। প্রযুক্তিগত দিক থেকে ট্রাই-ফোল্ডের জটিল ভাঁজ করা ডিজাইন থাকা সত্ত্বেও স্যামসাং দাবি করছে, ফোন স্লিম রাখার জন্য বিশেষভাবে কাজ করছে কোম্পানিটি।
স্যামসাং বলছে, নতুন ব্যাটারি প্রযুক্তি ফোনের পুরুত্ব কমানোর পাশাপাশি আরো কার্যকরী সঞ্চয় ক্ষমতা দেবে। ট্রাই-ফোল্ডটি চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বাজারে আসতে পারে বলে জানিয়েছে কোম্পানিসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।
গত জানুয়ারিতে আনপ্যাকড ইভেন্টে স্যামসাংয়ের ট্রাই-ফোল্ড ফোনের পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। সেই সঙ্গে এক্সআর হেডসেট ও এআর চশমাও প্রদর্শন করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্টটি। যদি নতুন গুঞ্জন সত্য হয়, তাহলে সিলিকন-কার্বন ব্যাটারি ব্যবহার হবে স্যামসাংয়ের জন্য প্রথম ঘটনা।
এর আগে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, আসন্ন এ২৬ সিরিজে এ ব্যাটারি প্রযুক্তি ব্যবহার হতে পারে। ব্যাটারির ধারণক্ষমতা প্রায় ৫৫০০ এমএএইচ থাকলেও সিলিকন ব্যাটারি ফোনের ওজন ও পুরুত্ব কমাতে সাহায্য করতে পারে। একই ধরনের ফলাফল গ্যালাক্সি ট্রাই-ফোল্ড থেকেও আশা করছেন প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা।
প্রচলিত লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে ব্যবহৃত গ্রাফাইট অ্যানোড ব্যাটারির শক্তি সঞ্চয় ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করে। তবে সিলিকন-কার্বন প্রযুক্তি সিলিকন অ্যানোড ব্যবহার করে, যা ছোট জায়গায় বেশি শক্তি সঞ্চয় করতে সক্ষম। ফলে ব্যাটারি ছোট হলেও আরো শক্তিশালী হয়।
হুয়াওয়ে গত বছর সেপ্টেম্বরে বিশ্বের প্রথম ট্রাই ফোল্ড স্মার্টফোন মেট এক্সটি আল্টিমেট বাজারে আনে। এরপর প্রযুক্তি দুনিয়ায় শুরু হয় তিন ভাঁজের স্মার্টফোন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা। ‘বিলাসবহুল প্রাইস ট্যাগ’ থাকা সত্ত্বেও মেট এক্সটির বিক্রয় রেকর্ড সাত মাসে চার লাখ ইউনিট ছুঁয়েছে। বিক্রির এ সংখ্যা এমন উচ্চমূল্যের স্মার্টফোনের জন্য বেশ বিরল ঘটনা বলে জানান বিশ্লেষকরা।
এবার নিজেদের ট্রাই ফোল্ড ফোন এনে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছে স্যামসাং। বছরের শুরুতে সংশ্লিষ্ট সূত্র ও ডিসপ্লে বিশ্লেষক রস ইয়ংয়ের বরাত দিয়ে টিপস্টার জানিয়েছে, হ্যান্ডসেটটি বাজারে গ্যালাক্সি জি ফোল্ড নামে পাওয়া যেতে পারে।