যেকোনো নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য–উপাত্ত তাঁর সম্পদ, রাষ্ট্র এর সুরক্ষা দিতে দায়বদ্ধ। কিন্তু বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যক্তিগত তথ্যের ব্যবহার শুরু হলেও সেগুলোর গোপনীয়তা, সুরক্ষা ও সংরক্ষণের পদ্ধতি ও প্রয়োজনে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কোনো আইন না থাকায় জনসাধারণের তথ্য সরকারি, বেসরকারি বা অন্য সব প্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও স্থানান্তর করে আসছে। ব্যক্তি তথ্যের সুরক্ষাবিষয়ক এ সমস্যা সমাধানে ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর খসড়া প্রস্তুত করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিতভাবে তথ্য সংগ্রহ ও আদান–প্রদানের ক্ষেত্রে দেশের জনসাধারণ তাঁদের তথ্যের আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্যক্তি তথ্যের সুরক্ষাবিষয়ক সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন দেশের এ–সংক্রান্ত আইন বিবেচনা করে একটি আইনের রূপকল্প নিয়ে ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর খসড়া প্রস্তুত করে অনলাইনে প্রকাশও করা হয়েছে।
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর খসড়ার বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক সংগঠনসহ সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাঠানো মতামত যাচাই–বাছাই করে খসড়াটি সংযোজন–বিয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।