বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে আইফোন ১৬। একই সঙ্গে এ সময় সর্বোচ্চ স্মার্টফোন বিক্রি করেছে টেক জায়ান্ট অ্যাপল। বছরের প্রথম তিন মাসে শীর্ষ দশ বিক্রিত ফোনের তালিকায় পাঁচটিই দখলে রেখেছে আইফোন। বাজার গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, তালিকায় শীর্ষে আছে আইফোন ১৬। এরপর আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স এবং আইফোন ১৬ প্রো। স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস২৫ আলট্রা অবস্থান সপ্তম স্থানে। স্যামসাং ও অ্যাপলের বাইরে কেবল শাওমি ব্র্যান্ডটি রেডমি ১৪সি মডেল নিয়ে শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, আইফোন ১৬ দিয়ে দুই বছর পর আবারও কোনো স্ট্যান্ডার্ড আইফোন মডেল (প্রো বা ম্যাক্স নয়) শীর্ষস্থানে ফিরল। বিশেষ করে জাপান, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বাজারে মডেলটি ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। এছাড়া বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বাধিক বিক্রিত ফোন ছিল যথাক্রমে আইফোন প্রো ম্যাক্স ও আইফোন ১৬ প্রো।
টানা তিন প্রান্তিকে প্রো মডেল দুটি অ্যাপলের মোট বিক্রির প্রায় ৫০ শতাংশ জুড়ে ছিল। তবে চীনে এ সময় ১৬ প্রোর বিক্রি কিছুটা কম ছিল। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ ৬ হাজার ইউয়ানের কম দামের ফোনে সরকারের ভর্তুকি ও হুয়াওয়ের মতো ব্র্যান্ডের তীব্র প্রতিযোগিতা।
এদিকে জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে শীর্ষ ১০ স্মার্টফোনের তালিকায় স্যামসাংয়ের মডেল আছে চারটি, যা আগের বছরের তুলনায় একটি কম। তবে এবার কম দামি বা বাজেট ফ্রেন্ডলি ফোনগুলোর বিক্রি কিছুটা বেড়েছে।
কাউন্টারপয়েন্টের তথ্যানুযায়ী, বাজেট সেগমেন্টে জনপ্রিয়তা ও সহজলভ্যতার কারণে এ সময় বিশ্বজুড়ে পঞ্চম সর্বাধিক বিক্রিত স্মার্টফোনের স্থানে আছে গ্যালাক্সি এ১৬ ফাইভজি।
অ্যাপল ও স্যামসাং ছাড়াও শীর্ষ ১০ স্মার্টফোনের তালিকায় একমাত্র চীনা ব্র্যান্ড হল শাওমি। কোম্পানির রেডমি ১৪সি মডেলটি অষ্টম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। ফোনটি বেশি বিক্রি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার মতো উদীয়মান বাজারে।
এদিকে শুল্ক জটিলতা ও বাজারের অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও, আগামী মাসগুলোয় শীর্ষ দশ স্মার্টফোন মডেলের বাজার হিস্যা স্থির থাকবে বলে মনে করছে কাউন্টারপয়েন্ট। কারণ বর্তমানে ভিন্ন কোম্পানি উচ্চমানের ফিচারযুক্ত প্রিমিয়াম ফোন তৈরিতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এসব ফোনের প্রতি ব্যবহারকারীদের আগ্রহ এখন বেশ শক্তিশালী।