চীন সরকারের সঙ্গে কোনো রকম সম্পর্ক থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির প্রযুক্তি জায়ান্ট হিসেবে পরিচিত হুয়াওয়ে।
হুয়াওয়ের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান জন সাফোক সোমবার বৃটিশ এমপিদের কাছে বলেছেন, তারা বিশ্ববাসীর কাছে উন্মুক্ত। কোনো গোপনীয়তা নেই তাদের। চীন বা অন্য কোনো সরকার কোনো কাজে তাদেরকে বাধ্য করে নি বা তাদেরকে কোনো কাজে উদ্বুদ্ধ করে নি। তাই এই কোম্পানিটি উন্মুক্ত বা একেবারে নগ্ন। হুয়াওয়ের উৎপাদিত যেকোনো পণ্য বিশ্লেষণ করতে বাইরের যেকোনো বিশ্লেষককে স্বাগত জানায় তার প্রতিষ্ঠান। এমন বিশ্লেষণ করে পণ্যে ইঞ্জিনিয়ারি বা কোডিংয়ে কোনো ত্রুটি আছে কিনা তা নির্ধারণ করতে পারেন যেকেউ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
জন সাফোকের ভাষায়, আমরা বিশ্ববাসীর সামনে ‘নগ্ন’। এখানে নগ্ন বলতে তার প্রতিষ্ঠানকে উন্মুক্ত বুঝানো হয়েছে। আমরা আমাদের ত্রুটি খুঁজে বের করার জন্য লোকজনের প্রতি আহ্বান জানাই। তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করুন, যদি তাদের সংখ্যা একজন বা এক হাজার হয় তাতেও আমাদের কিছু এসে যায় না। মানুষ এমন কিছু খুঁজে পেলে তাতে আমরা বিব্রত হবো না।
টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স সিলেক্ট কমিটি আমন্ত্রণ জানিয়েছিল হুয়াওয়েকে। তাদের উৎপাদিত পণ্যে নিরাপত্তা নিয়ে যেসব উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে এবং চীন সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক থাকার যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে এমন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাদেরকে।
ওদিকে হুয়াওয়ের পণ্য নিষিদ্ধ করতে মিত্র দেশগুলোকে উৎসাহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বলা হয়েছে, মিত্ররা যেন হুয়াওয়ের ৫জি নেটওয়াক ব্যবহার বন্ধ রাখে। অভিযোগ, এ প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দেশে নজরদারি করতে পারে চীন সরকার। এর জবাবে জন সাফোক বলেন, আমাদেরকে মোটেও কিছু করতে কখনো চীন সরকার আহ্বান জানায় নি।
চীনের সিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় ১০ লাখ মুসলিমের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি উত্থাপন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এমপিরা। তারা জানতে চেয়েছেন, মুসলিমদের ওপর নজরদারি করতে ওই প্রদেশে হুয়াওয়ের পণ্যে কি কোনো সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। এর জবাবে জন সাফোক ওই মন্তব্য করেছেন।