প্রযুক্তি জগতের শীর্ষ দুই জায়ান্ট অ্যাপল ও গুগলকে টপকে এক নম্বর ব্র্যান্ডের মর্যাদা ছিনিয়ে নিয়েছে ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যামাজনের ব্র্যান্ড মূল্য এখন সর্বাধিক।
আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কান্তারের ‘হান্ড্রেড টপ ব্র্যান্ডজ’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যামাজনের বর্তমান ব্র্যান্ড মূল্য গত বছরের তুলনায় ৫২ শতাংশ বেড়ে ৩১৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। অথচ গত বছর এই ই-কমার্স কোম্পানি তিন নম্বরে ছিল। শীর্ষে ছিল অ্যাপল, এরপরের অবস্থানেই ছিল সার্চ জায়ান্ট গুগল।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে একটি বাড়ির গ্যারেজে ১৯৯৪ সালে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন জেফ বেজোস। সেই কোম্পানিই এখন গুরুত্বপূর্ণ কিছু অধিগ্রহণ, চমত্কার গ্রাহকসেবা এবং সৃষ্টিশীল ব্যবসায়িক মডেলের জন্য বিশ্বের এক নম্বর ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। কান্তারের প্রতিবেদনে এভাবেই অ্যামাজনের অর্জনকে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিক থেকে বরাবরের মতো এবারো শীর্ষ দশে স্থান করে নেয়া বেশির ভাগ কোম্পানিই মার্কিন। যেখানে ৩০৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যমান নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে অ্যাপল, ৩০৯ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে গুগল এবং ২৫১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট।
অন্যদিকে পেমেন্ট সিস্টেম ভিসার অবস্থান পঞ্চম। এ কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু ১৭৮ বিলিয়ন ডলার। ১৫৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যমান নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে শীর্ষ সোস্যাল মিডিয়া কোম্পানি ফেসবুক।
এবারই প্রথম টেনসেন্টকে পেছনে ফেলে চীনের সবচেয়ে দামি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবা। ১৩১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের আলিবাবার অবস্থান সপ্তম। গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে এ চীনা কোম্পানির। অন্যদিকে ইন্টারনেট জায়ান্ট টেনসেন্ট এবার তিন ধাপ নিচে নেমে গেছে। বর্তমানে কোম্পানিটির ব্র্যান্ড ভ্যালু ১৩০ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার।
তাছাড়া কান্তারের তালিকায় একটি বিষয় স্পষ্ট যে বৃহৎ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এশীয় কোম্পানিগুলোর গুরুত্ব বাড়ছে। শীর্ষ ১০০ কোম্পানির তালিকায় এবার স্থান পাওয়া ২৩টি কোম্পানি এশীয়। এর মধ্যে চীনা কোম্পানিই ১৫টি।