নতুন নকশার ম্যাক প্রো উন্মোচন করেছে অ্যাপল। ডাব্লিউডাব্লিউডিসি ২০১৯-এ প্রায় ছয় বছর পর ডিভাইসটির আপডেট আনে প্রতিষ্ঠানটি।
অনেক আগে থেকেই আরও পেশাদার কম্পিউটার আনার অঙ্গীকার করে আসছে অ্যাপল। বলা হয়েছিল ডিভাইসটি আগের চেয়ে অনেক বেশি মডিউলার এবং কম থার্মালযুক্ত হবে। নতুন প্রো-তে অ্যাপলের অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন দেখা গেছে।
২০১৯ সালের ম্যাক প্রো নতুন নকশার হলেও এটিতে দেওয়া হয়েছে অ্যাপলের ক্লাসিক ‘চিজ গ্রেটার’ রূপ। ডিভাইসটির ভেতরে অনেক মডিউলার অপশন রাখা হয়েছে যার অনুপস্থিতি আগের ম্যাক প্রো নকশার সবচেয়ে বাজে সমস্যা হিসেবে দেখা হয়।
নতুন ম্যাক প্রোতে পাওয়া যাবে ২৮ কোর পর্যন্ত জিওন প্রসেসসর, ৩০০ওয়াট পর্যন্ত পাওয়ার এবং হেভি-ডিউটি কুলিং ব্যবস্থা, “যাতে ডিভাইসটি বাধাহীনভাবে সব সময় পুরো কার্যকরিতা দিতে পারে।”
অ্যাপলের দাবি, ১২টি ডিআইএমএম স্লটের মাধ্যমে ডিভাইসটির র্যাম দেড় টেরাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। এ ছাড়া এতে রয়েছে আটটি পিসিআই এক্সপ্রেস স্লট, পেছনে দুইটি ইউএসবি-সি/ থান্ডারবোল্ট ৩ পোর্ট এবং দুইটি ইউএসবি-এ পোর্ট। ডিভাইসটির সামনেও দুইটি ইউএসবি-সি পোর্ট রাখা হয়েছে।
এবারে ম্যাক প্রো-তে, এমপিএক্স নামে কাস্টম এক্সপানশন মডিউল এনেছে অ্যাপল। থান্ডারবোল্ট ৩-এর সুবিধা নিয়ে যন্ত্রাংশে বাড়তি পাওয়ার এবং উচ্চ গতির সংযোগ দেবে এটি। এমপিএক্স মডিউলটি আসলে একটি কোয়াড-ওয়াইড পিসিআইই কার্ড যাতে দুইটি গ্রাফিক্স কার্ড বসানো যায়। এর জন্য রয়েছে আলাদা হিট সিংক।
অ্যাপলের দাবি এএমডি’র রেডিওন প্রো ভেগা ২ বা রেডিওন প্রো ভেগা ২ ডুয়ো মিলে মোট চারটি জিপিইউ এবং ১২৮ গিগাবাইট এইচবিএম২ গ্রাফিক্স মেমোরি পেতে পারেন গ্রাহক।
নতুন ম্যাক প্রো’র বাজার মূল্য শুরু হচ্ছে ছয় হাজার মার্কিন ডলার থেকে। গ্রাহক চাইলে ডিভাইসটি প্রায় ৪৫ হাজার ডলার পর্যন্ত কনফিগার করতে পারবেন। চলতি বছরের গ্রীষ্মেই ডিভাইসটি বাজারে আনবে অ্যাপল।