রাজস্ব বকেয়া আদায়ে গ্রামীণফোন এবং রবি’র কমানো ব্যান্ডউইথ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এতে গ্রামীণফোন ও রবি নতুন কোনো প্যাকেজ দিতে পারবে না গ্রাহকদের। পাশাপাশি তাদের নেটওয়ার্কের আওতা বাড়ানো বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আজ বুধবার বিটিআরসির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন পদক্ষেপের কথা জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান জহুরুল হক। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জানান, পাওনা আদায়ে ব্যান্ডউইথ সীমিত করা হয়েছিল। গ্রাহকদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে বাধা তুলে নেওয়া হবে। তবে পাওনা টাকায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সালিশে যাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। এনওসি বন্ধের পরও পাওনা না দিলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিটিআরসি গত ৪ জুলাই ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা পাওনার আদায়ের পদক্ষেপ হিসেবে গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ও রবি আজিয়াটা বারহাদের ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইডথ সক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোনের ওপর নিরীক্ষা করে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা পাওনা দাবি করছে বিটিআরসি। রবির কাছে দাবি করা হচ্ছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এ অর্থের মধ্যে বিলম্বের মাশুল ও সুদও ধরা আছে।
অবশ্য ব্যান্ডউইথ কমানোর ফলে কলড্রপ বেড়ে যায়। পাশাপাশি অনেক জায়গায় ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। প্যাকেজ কিনে ঠিকমতো ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারার ক্ষতিপূরণ কী হবে, আদৌ মিলবে কিনা, সে বিষয়েও গ্রাহকদের প্রতি স্পষ্ট কোনো কোনো নির্দেশনা ছিল না বিটিআরসি বা অপারেটরদের।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জানান, খুব শিগগিরই ব্যান্ডউইথের বাধা তুলে নেওয়া হবে।