গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নে শক্তিশালী মোবাইল নেটওয়ার্ক কাঠামো গঠন এবং প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত এর সুফল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সঙ্গে লাইসেন্সপ্রাপ্ত মোবাইল টাওয়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক ও ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার মো. মুহিউদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৪টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের অপারেশনাল কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করেন।
সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আরিফ আল ইসলাম জানান, তারা বাংলালিংকের সঙ্গে সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট সম্পন্ন সাপেক্ষে ২৫৯টি টাওয়ার নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫০টি ও ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে অবশিষ্ট ১০৯টি টাওয়ার নির্মাণ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ইডটকো বাংলাদেশের পরিচালক (প্রকৌশল) সাব্বির আহমেদ জানান, তার প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে টাওয়ার নির্মাণ কার্যক্রম চালু রেখেছে। তবে অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনায় কিছু প্রতিবন্ধকতার কথা তিনি তুলে ধরেন। কমিশন থেকে যেকোনও ইস্যু স্বল্পতম সময়ে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তবে বাজার প্রতিযোগিতায় আইন ও বিধানের বাইরে কাজ করলে তার বিষয়ে কঠোর রেগুলেটরি হস্তক্ষেপের বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেডের ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেসের প্রধান আনিস আহমেদ বলেন, আমরা বিভিন্ন অপারেটরের সঙ্গে বাণিজ্যিক আলাপ আলোচনার প্রায় শেষের দিকে রয়েছি। শিগগিরই দেশের বিভিন্ন স্থানে টাওয়ার নির্মাণ শুরু করতে পারবো বলে আমরা আশা করি।
এবি হাইটেক কনসোর্টিয়ামের প্রধান নির্বাহী হোসেন মঞ্জুরুল হাসান জানান, তাদের আগামী তিন মাসে ৩০০ টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তারা মোবাইল অপারেটর রবির সঙ্গে ১০০ টাওয়ার নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এবং ইতোমধ্যে ৪৭টি টাওয়ার নির্মাণ করে রবিকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অবশিষ্ট ৫৩টির কার্যক্রম এই মাসেই শেষ করবেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান সব টাওয়ার লাইসেন্সধারীদের মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। উপস্থিত লাইসেন্সধারীরা টাওয়ার নির্মাণে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের প্রতিবন্ধকতার বিষয় কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ বিষয়ে কমিশন থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।